দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির হাটের ইজারা দেবার ব্যবস্থা জন্য বন্দরের আকাশ নামে এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে মারধরের করার অভিযোগ নাসিক কাউন্সিলর ও তার সদস্য সচিব সহ ৫ জনের নামে আদালতে একটি সিআর মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিজ্ঞ আমলী ৬নং আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করা হয়। যার নম্বর-১৭১, তারিখ-৮/০৬/২৩ ইং।
মামলার বাদী নারায়ণগঞ্জে বন্দর উপজেলার সোনাকান্দার পানিরটাংকি এলাকার মোঃ আলমের ছেলে মোঃ আকাশ।
মামলার আসামীরা হলেন,নাসিক ১৯,২০ ও ২১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর শিউলি নওশাদ(৩৫) স্বামী-মোঃ নওশাদ, মোঃ সালাম(৩৫) পিতা-মোহাম্মদ, মোঃ নিপু (২৭) পিতা-মোঃ শহিদুল, মোঃ রাজু (২৮) পিতা-মোঃ আবুল, মোঃ রবা (৩০) পিতা-মোহাম্মদ, সর্বসাং দড়ি সোনাকান্দা, বন্দর নারায়ণগঞ্জ।
মামলার এজাহারে উলেøখিত, নাসিক ১৯,২০ ও ২১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর শিউলি নওশাদ আকাশ নামে ভুক্তভোগীকে বন্দর ঘাট সংলগ্ন কোরবানির হাটের ইজারার ব্যবস্থা করে দেবার কথা বলে ৪ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু অঙ্গীকারনামা মোতাবেক হাটের কোন ব্যবস্থা করে না দেওয়ায় ভুক্তভোগী আকাশ কাউন্সিলরের কাছে টাকা ফেরত চাই। কাউন্সিলর টাকা নেবার কথা অস্বীকার করে।
এতে ভুক্তভোগী নাসিক মেয়র ডা.সেলিনা হায়াত আইভীর কাছে বিচার দিবে এবং আইনের শরণাপন্ন হবে বলে জানালে। কাউন্সিলর শিউলি নওশাদের নির্দেশে মামলার এজাহারভুক্ত ২ নং সালাম আকাশকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় এবং মারধর করে। হামলার শিকার আকাশ চিকিৎসা শেষে এনিয়ে নারায়ণগঞ্জ মোকাম বিজ্ঞ আমলী ৬নং আদালতে একটি সি আর মামলা দায়ের করা কাউন্সিলর শিউলি নওশাদ সহ ৫জনকে আসামী করে।
যার নম্বর-১৭১, তারিখ-৮/০৬/২৩ ইং। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য বন্দর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্তকে দেওয়া হয়। এবিষয়ে মামলার বাদী মোঃ আকাশ এর ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোনে (০১৬১৮৭৩৮৮@@ এবং ০১৯৯৫৩৮৮৫@@) একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
মামলার বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর শিউলি নওশাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৭৩৬০৬৯০@@) জানতে চাইলে তিনি ‘ফোকাস নিউজ এজেন্সী’কে জানান, আকাশ একজন মাদক ব্যবসায়ী। ৪দিন আগে সোনাকান্দা ও দড়িসোনাকান্দা এলাকায় এ নিয়ে ঝগড়া হয়। আকাশের সাথে হাজিপুর এলাকার মেরাজ হোন্ডাবহর নিয়ে এলাকাবাসীর উপর হামলা চালায়। ওরা আমার সাবেক সচিবকেও এলাপাতারি কুপিয়েছে।
পরে এলাকাবাসী বাধা প্রদান করলে মেরাজরা হোন্ডা রেখেই পালিয়ে যায়। যে হোন্ডাগুলো বর্তমানে মদনগঞ্জ ফাড়িতে রÿিত আছে। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে যাই। সেই দিনের ঘটনা সর্ম্পকে থানার ওসি,উপজেলা চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যানসহ সকলেই অবগত রয়েছেন। মারামারির ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে আদালতে।
মামলার তদন্তের বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আদালতে মামলা সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র এখনও আমাদের হাতে আসেনি।