দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: দাবীকৃত ৩ লক্ষ টাকা চাদাঁ না দেয়া হাফেজ শাহাজালাল নামে এক যুবককে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে সানী ও নেছারগংদের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে শাহাজালালের বড় ভাই মো.নজরুল ইসলাম ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ মাসদাইর থেকে শাহাজালালকে উদ্ধার করেন। শনিবার রাতে পশ্চিম মাসদাইর শোভন গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উত্তর মাসদাইর রহমান গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকার মৃত.সিদ্দিক মোলøার ছেলে মো.নজরুল ইসলাম অভিযোগ উলেখ করেন যে,শুক্রবার দিবাগত রাতে সানী তার গুন্ডাবাহিনী নিয়ে তার জায়গায় বালু ভরাটের কাজের জন্য ৩ লাখ টাকা চাদাঁ দাবী করে। এবং তারা তৎকালিন ২০ হাজার টাকাও নিয়ে যায়।
অবশিষ্ট টাকা না দিলে আমার ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। এর ধারাবাহিতকায় শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মৃত.দুলু মিয়ার ছেলে সানী,নান্টু,নেছার,সহিদ ওরফে ইয়াবা সহিদসহ ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ভাই হাফেজ শাহাজালালকে অপহরন করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ০১৭৪৫৭৪২৪@@ এবং০১৯৪০১৯৬৮@@ নম্বরে ফোন দিয়ে আমাকে টাকা নিয়ে গোর¯Íান আজাম বাড়ির সামনে যেতে বলে।
অভিযোগের সুত্রধরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.জিয়া গোরস্তান আজাম বাড়ির সামনে থেকে শাহাজালালকে উদ্ধার করে। এসময় অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম বলেন,আমার বাড়ির সামনে লিজকৃত জমিটি বালু ভরাটের জন্য বালু ফেললে দুলু মিয়ার ছেলে আমার কাছে ৩ লাখ টাকা দাবী করে।
দাবীকৃত টাকা না দেয়ার ফলে আমার ভাইকে এখানে আটক করে রাখে। উদ্ধারকৃত হাফেজ শাহাজালাল বলেন, আছর নামাজ শেষে পাকাপুল থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় এখানে তারা আটক করে সিদ্দিক সাহেবের গরুর ফার্মে নিয়ে গাছের ডালা ভেঙ্গে আমাকে বেধড়ক পিটায় এবং আমার নম্বর থেকেই ফোন করে আমার ভাইকে টাকা নিয়ে আসতে বলেন। এ সময় ডালার আঘাতে তার হাতের একটি অংশ ফুলে গেছে তাও পুলিশকে দেখায়।
পরÿনে সানীর চাচা শাহীন এবং অপর চাচা আলহাজ ফয়েজউদ্দিন আহমেদ লাভলুর দুই ছেলেসহ সিদ্ধিক সাহেবের বাড়ির মাঠে (লাভলু’র পাশের বাড়ি) বিষয়টি সুরাহার জন্য বসলেও কথা কাটাকাটির ফলে তা পুরোটা সম্ভব হয়নি।
পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.জিয়া উদ্ধারকৃত হাফেজ শাহাজালালকে নিয়ে আসার সময় অভিযুক্ত সানী,তার বড়ভাই জ্যাকিসহ সঙ্গীয়রা পুলিশের সামনেই নজরুল ও তার ভাইকে সার্টের কলার টেনে নাজেহাল করেন। এবং অপহরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে এমন কথা বলে হাফেজ শাহাজালালকে কানধরে উঠবস করতে বলেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ দ্রুত নজরুল ও হাফেজ শাহাজালালকে গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম বলেন,রাতের ঘটনা শেষে আবার আজ ফজরের নামাজের পর তারা এসে আমার বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরা সংযোগ কেটে দেয়,আমার ঘরে ঢুকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ টাকা নিয়ে আসেন এবং ঘর তছনছ করে গেছে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.জিয়া বলেন,অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা হাফেজকে উদ্ধার করেছি। আমার সামনে তাদেরকে নাজেহালের বিষয়টি নিয়ে যদি তারা কোন অভিযোগ করেন তাহলে ব্যবস্থা নিব।