দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ডিপিডিসি)’র সিএসএস এর কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী হাসানুল ইসলাম হাসানের বিরুদ্ধে লাল নোটিশের ভয় দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি গ্রাহকদের কাছ থেকে বকেয়া বিল আদায় করার লক্ষে লাল নোটিশ প্রদান করছে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসি। সেই লাল নোটিশের আতঙ্ককে পূঁজি করে স্বার্থ-সিদ্ধি হাসিলের জন্য মাঠে নেমে পরেছে প্রকৌশলী হাসানুল ইসলাম হাসান। ফলে হয়রানীর শিকার হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ডিপিডিসি)’র সিএসএস এর কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী হাসানুল ইসলাম হাসান আমাদেরকে লাল নোটিশের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। কেউ ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায় না কারণ যদি প্রকাশ্যে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে নানামুখী ঝামেলা তৈরী করে গ্রাহকদেরকে হয়রানী করে থাকে।
যদি কারো কোন মিটারে সমস্যা থাকে সেই মিটারটি ঠিক করে দেয়ার কথা বলে দিনের পর দিন ঘুরায়। কিন্তু গ্রাহকরা সহসায় কোন সুফল পায় না। গ্রাহকের কাছ থেকে বকেয়া বিল আদায় করার লক্ষে ডিপিডিসি লাল নোটিশ প্রদান করছে। সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্রকৌশলী হাসানুল ইসলাম হাসান কতিপয় মিটার রিডারদের সহায়তায় ঘুষ বাণিজ্যে লিপ্ত হয়েছে। ফলে সাধারণ গ্রাহকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। হয়রানীর শিকার অনেক ভুক্তভোগী রয়েছে যারা নানামুখী ঝামেলার কারণে এই অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসি’র সিএসএস এর কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী হাসানুল ইসলাম হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে কোন গুরুতর অভিযোগ থাকলে তার বিরুদ্ধে লাল নোটিশ জারি করা হয় এবং বিল করা হয়। এখানে কাউকে হয়রানী করার কোন সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারী জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।