দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের অফিসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি সহ অফিস ভাংচুর করেছে সাবেক মেম্বার মহিউদ্দিন ও বর্তমান মেম্বার মাইনুদ্দিন আহম্মেদ মানিক গংরা।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা হলে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়েছে বলে জানান নাজমুল ইসলাম।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম জানান,চাঁদার দাবীতে আন্ডা রফিক বাহিনীর অন্যতম সদস্য ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার চিহিৃত সন্ত্রাসী সাবেক মহিউদ্দিন ও বর্তমান মেম্বার বিএনপি নেতা মাইনুদ্দিন আহম্মেদ মানিক বাহিনীবড়ালুতে আমার স্বেচ্ছাসেবক লীগের অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সহ অফিস ভাংচুর করে।
প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে ফয়সাল,শুভ,নাহিদ, স্বপন,এমদাদুল, ইয়ানুস,আবু সাঈদ সহ একাধিক ব্যক্তিকে।
দুই মেম্বার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা- মামলা করে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী।
এলাকাবাসী জানান,কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মাইনুদ্দিন আহম্মেদ মানিককে কবরস্থানের রাস্তা নির্মাণের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী।
কিন্তু মানিক মেম্বার ৫০/৭০ হাজার টাকার কাজ করে পুরো টাকা আতœসাত করে দেন।খবর জানতে পেরে এলাকাবাসী প্রতিবাদে মুখর হলে সাবেক মেম্বার মহিউদ্দিন ও বর্তমান মেম্বার মানিক জোটবদ্ধ হয়ে বড়ালু,পীরপাড়া,পাড়াগাও গ্রামের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ফয়সাল,শুভ,নাহিদ,স্বপন,দেলোয়ার, এমদাদুল, ইয়ানুস,আবু সাইদ সহ ১০/১২ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছে। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাদের দাবী বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর কারীদের দ্রæত আইনের আওতায় আনা হোক।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান,বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা এড. তৈমুর আলম খন্দকারের বিশ্ব¯Í সহচর হচ্ছে মানিক মেম্বার। তার পিতা মাতা বিএনপি করতো। মানিক মেম্বারের পরিবার কখনো আওয়ামী লীগ করতোনা। বরং তারা আওয়ামী লীগের সভা সমাবেশে যেতে বাঁধা প্রদান করতো।
বর্তমানে বড়ালু,পাড়াগাও, পীরপাড়া ও আশপাশের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে সাবেক মেম্বার মহিউদ্দিন, বর্তমান মেম্বার মানিক,তার ভাই মুকুল ও আলাউদ্দিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে এলাকায় ভূমিদস্যুতা,সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী জানান,মানিক ও মহিউদ্দিন মেম্বার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বেছে বেছে মারধর করে সভা সমাবেশে যেতে বাঁধা প্রদান করছে। ঐ বাহিনীর হামলায় ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারনে ৬নং ওয়ার্ডবাসী আতংকিত অবস্থায় দিনযাপন করছে।
মানিক মেম্বার ও মহিউদ্দিন মেম্বার বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে রুপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের হ¯Íক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে ইউপি মেম্বার মাইনুদ্দিন আহম্মেদ মানিক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের কথা অস্বীকার করে বলেন,নাজমুলের নেতৃত্বে একাধিক সন্ত্রাসী আমার কাছে চাঁদা দাবী করে। আমি না দেয়ায় আমাকে কুপিয়ে জখম করে। আপনারা ঘটনা স্থলে এলে সব জানতে পারবেন।