দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্দ্যেরবাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী পরিদর্শক (এসআই) শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে জেলেদের মারদর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
সোনারগাঁয়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেদের কাছ থেকে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের নেতৃত্বে মাসিক চাঁদা সহ প্রতিদিন রাতে চাঁদা আদায় করছে এসআই শাহিনুর রহমান।
এসআই শাহিনুর রহমান কর্তৃক মারধরের শিকার মাছ ব্যবসায়ী রহম আলী জানান,আজ ২৬ জুলাই বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় রহম আলীর নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে এসআই শাহিনুর রহমান। এসময় রহম আলী অনেক অনুরোধ করে বলেন আমার কাছে টাকা নেই। আমি বাড়িতে ফোন করে বলি টাকা পাঠাতে। ফোন করার কথা বললে এসআই শাহিনুর রহমান তাকে একাধিকবার চর থাপ্পর মারে।
পরবর্তীতে বিষটি ৪০০০ টাকায় রফাদফা হয়। তাছাড়া সুজন ও জাকির মোলøা নামের আরও দুই জেলেকে আটক করে ৬০০০ টাকা চাঁদা নেন তিনি। তাছাড়া পছন্দ মতো বড় বড় মাছ বিনা টাকায় নিয়ে যায় এসআই শাহিনুর রহমান সহ নৌ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা।
নদীতে চলাচলরত প্রতিটি বালুবাহী বাল্কহেড থেকে ২০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত এবং মাছ ধরার ট্টলার থেকে মাসিক মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে বৈদ্দেরবাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি।
গত রমজান মাসেও নুনেরটেক থেকে একটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করে পরবর্তীতে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় এসআই শাহিনুর রহমান।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আরেক জেলে জানান,গত কোরবানি ঈদের এক সপ্তাহ আগে একটি পিকাপ ভর্তি চায়না জাল আটক করে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় এসআই শাহিনুর রহমান।
এসব অপরাধ কর্মকান্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই শাহিনুর রহমান নিজেকে নির্দোষ বলে দাবী করেন তবে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে চাননি।
বৈদ্দেরবাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোসাব্বেরুল হক বলেন,এ বিষয়ে আমি কিছু তথ্য প্রমাণ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।