দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বিগত দিনে ব্যার্থতাকে পাশকাটিয়ে আগামী দিনে সরকার পতন আন্দোলনকে সামনে রেখে ঘর গুছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। যার প্রতিফলন ইতিমধ্যেই স্থানীয় মিডিয়াতে প্রকাশিত হতে দেখা গেছে বারংবার। তবে সেটা শুধুই বিএনপির ক্ষেত্রে। এই দলটির সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন গুলো এখনো অধিকাংশই অগুছালো। তবে দলটির মুলধারার ক্ষেত্রে জেলার চেয়ে মহানগর বিএনপি নিজেদেরকে অনেকটাই শক্তিশালী অবস্থানে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
শুধু তাই নয় মহানগর বিএনপির নেতাদের মধ্যে কোন্দল থাকায় দুই ভাগে বিভক্তির ফলে ৮০টি ওয়ার্ডে কমিটি হয়েছে প্রায় ১৬০টি। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। অন্য গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল এবং মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু।
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্তি হলেও এখনও তারা মুলধারাকে গুছানোর পারদর্শিতা দেখাতে সক্ষম হননি। জেলায় একটি গ্রুপের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন ও গোলাম ফারুক খোকন আর অন্য গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ও জাহিদ হাসান রোজেল।
জেলাকে তারা সাংগঠনিক ভাবে গুছাতে না পারলেও দলীয় কর্মসূচি গুলোতে দুই গ্রুপের নেতৃত্বেই নামে নেতাকর্মীদের ঢল। তবে সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন গুলো এখনো প্রায় নাজেহাল অবস্থা।
এদিকে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ইতিমধ্যেই কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারী দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নীতিনিধারকরা। সেই ক্ষেত্রেআগামী দিনে এই আন্দোলনে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখার কথা রয়েছে ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে। যারফলশ্রুতিতে বিএনপি সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হলেও দলটির সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন গুলো এখনো অধিকাংশই অগুছালে।
লক্ষ্য করলে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল ৫ সদস্য আহবায়ক কমিটি এখনও সংক্ষ্যাকে অতিক্রম করতে পারেনি। যার ফলে আহবায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে অনেকটাই জিম্মি মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা। ঠিক এই ভাবে ৩ সদস্য বিশিষ্ট জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলেও ৩ সংক্ষ্যায় নেমে এসেছে ২ এর ঘরে। এখন অনেকটাই জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা জিম্মি হয়ে আছে সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির কাছে।
ঠিক একই ভাবে কাগজে কলমে কমিটি দলটির সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন গুলো থাকলেও সাংগঠনিক কর্মকান্ড প্রায় নিষ্কৃয়। দলীয় কর্মসূচিতে সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন গুলোর নেতারা আলাদা ব্যানার নিয়ে নিজেদের পরিচয় জাহির করতে চৌকোষ হলেও। সংগঠনগুছাতে রয়েছে বেশ এলার্জি।
এবিষয়ে দলটির স্থানী রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা বলেন, বিএনপিকে সাজাতে সংগঠনটির দায়িত্বরত নেতৃবৃন্দ যে ব্যস্ত সময় পার করছেন এর ছিটে ফোটাও দৃষ্টি নেই সংযোগী ও অঙ্গসংগঠনের দিকে। আগামী দিনে আন্দোলন সংগ্রামকে সামনে রেখে অবশ্যই সহযোগী সংগঠনের দিকে তাদের দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। যদি দুই একজন ব্যক্তি দিয়ে একটি সংগঠন পরিচালনা করা সম্ভব হতো। তাহলে
বৃহত কমিটির কোন প্রয়োজন ছিলো না। তাই আমরা আহবান করবো মুলধারার পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনগুলো গুছানোর উদ্যোগ তাদেরকেই নিতে হবে।