দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছয়তলা ভবনের ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ সবুজ খন্দকার মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ভোরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল সবুজের। একই ঘটনায় দগ্ধ বিথি আক্তার ও তার স্বামী মো. রানা এখনও চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের শরীরের যথাক্রমে ৩৫ শতাংশ ও ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে।
নিহত ২৫ বছর বয়সী তরুণ সবুজ খন্দকার মাদারীপুরের শিবচরের লোকমান খন্দকারের ছেলে। ফতুল্লার হোসাইনী নগর এলাকায় লক্ষী নিবাস নামে ছয়তলা ভবনটির পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন তিনি।
সবুজের মামা খলিল শিকদার বলেন, হোসাইনী নগর এলাকায় সবুজের একটি হোসিয়ারি কারখানা ছিল। ওই কারখানায় কাজ করতেন রানা ও বিথি। তিনজন একই ফ্ল্যাটে থাকতেন। গত ১২ আগস্ট রাতে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে তারা তিনজনই দগ্ধ হন।
সকাল ছয়টার দিকে সবুজের মারা যাওয়ার খবর পাই। পরে লাশ নিয়ে আমরা গ্রামের বাড়িতে চলে যাই। সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো কিনা পরে পরিবারের লোকজন সিদ্ধান্ত নেবেন।’
ঘরের ভেতর জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ওই সময় সাংবাদিকদের জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফখরউদ্দিন আহম্মাদ। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান আসলামের মালিকানাধীন ছয়তলা ভবনটির পঞ্চম তলার উত্তর-পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণের পর দুই পাশের দেয়াল ভেঙে পড়ে। ফ্ল্যাটের ভেতরে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও তিতাস গ্যাসের লাইন দু’টোই ছিল। লাইনের কোন লিকেজ থেকে ঘরের ভেতর গ্যাস জমে তা থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে।
বিস্ফোরণে পশ্চিম পাশের দেয়ালটি ভেঙে পাশের একটি টিনশেড ঘরের ওপর পড়ে। ওই ঘরে কেউ না থাকায় হতাহত হননি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের ফ্ল্যাটের দরজা, দেয়ালও ভেঙে গেছে, আসবাবপত্র ছিটকে পড়ে।
বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় চারজন দগ্ধসহ ছয়জন আহত হন।