দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, যারা অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে চান, তাদের উদ্দেশে সানজিদ বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি পর্যায়ে গবেষণার অনেক সুযোগ আছে, স্কলারশিপও পাওয়া যায়। তবে, এখানে মাস্টার্স পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলকভাবে কম। তিনি জোর দেন যে, যে-কোনো দেশে মাস্টার্স সম্পন্ন করে অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি কোর্সের জন্য আবেদন করা যাবে। আর, মাস্টার্স পর্যায়ে দুই-একটি প্রকাশনা থাকাটা ভাল হবে।
সম্প্রতি ইস্পাতের ক্ষয় রোধে গবেষণায় সাফল্য পেয়েছেন মেলবোর্নের আর-এম-আই-টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ভোকেশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর লেকচারার সানজিদ আহমেদ পাটওয়ারী।
ড. সানজিদ আহমেদ পাটওয়ারীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জে। তবে, পড়াশোনা করেছেন নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, রিয়াদ, মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায়।
বুয়েটের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ায় মাস্টার্স করার পর, অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্সিটিতে কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন।
গবেষণা এবং উচ্চতর শিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে চান ডঃ মাহমুদুর রহমান
তার পিএইচডি গবেষণার বিষয় ছিল ইস্পাতের মরিচা রোধ করা নিয়ে। সানজিদ বলেন,আমার মূল কাজ ছিল মাইল্ড স্টিল, যেটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ধাতু পৃথিবীতে, সেটার মরিচা রোধ করা।”
মূল টার্গেট ছিল মাইল্ড স্টিলের উপর গ্রাফিন দিয়ে একটি কোটিং করা। কারণ, গ্রাফিন একটা অনেক নোবেল মেটেরিয়াল, যেটা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না।”
“কিন্তু, এখানে মেইন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, মাইল্ড স্টিলের উপর গ্রাফিন গ্রো করা যায় না।”তিনি আরও বলেন,
“এর আগে মাইল্ড স্টিলের উপরে গ্রাফিন গ্রো করা সম্ভব হয় নি।”
এই গবেষণায় সাফল্য লাভের পর, মনাশ ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এটি প্যাটেন্ট করে, বলেন সানজিদ।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, যারা অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে চান, তাদের উদ্দেশে সানজিদ বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি পর্যায়ে গবেষণার অনেক সুযোগ আছে, স্কলারশিপও পাওয়া যায়। তবে, এখানে মাস্টার্স পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলকভাবে কম। তিনি জোর দেন যে, যে-কোনো দেশে মাস্টার্স সম্পন্ন করে অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি কোর্সের জন্য আবেদন করা যাবে। আর, মাস্টার্স পর্যায়ে দুই-একটি প্রকাশনা থাকাটা ভাল হবে।