দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: জামালপুর ইসলামপুর দুর্গাপুজো শেষ। বিজয়াদশমীর দিনটি সনাতন ধর্মীয় দের কাছে অত্যন্ত দুঃখের দিন। এ বছরের মতো শেষ দুর্গাপুজো। আবার এক বছরের প্রতিক্ষা। আবার নতুন করে মূর্তি গড়া, আবার প্যান্ডেল বানানো, আলোর কাজ। সব কিছু আগামী বছর আবার নতুন করে।
কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, দুর্গা প্রতিমা ভাসান দেওয়ার কারণ কী? এমন তো করাই যেত, প্রতিমা এক বার বানানো হত, তার পরে সেই প্রতিমাই বছরের পর বছর পুজো হত। বাড়িতেও অনেকে মাটির মূর্তি পুজো করেন। তাঁরাও তো ভাসান দেন না। তাঁরাও তো বছরের পর বছর একই মূর্তি পুজো করেন। এক্ষেত্রে তেমন হয় না কেন?
শাস্ত্র বলছে, এর পিছনে রয়েছে এক নিয়ম। পুজোর সঙ্গে বিজয়া দশমী অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। এবং সেদিন মাতৃ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়াই কাজ। এর পিছনে থেকে থাকা কারণটি লুকিয়ে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনিতেই।
পুরাণ মতে, এই সময়ে দেবী নিজের বাপের বাড়িতে আসেন। এবং তার পরে দশমীর দিন তিনি আবার স্বামীর কাছে ফিরে যান। দেবী যখন বাপের বাড়ি আসেন, তখনই তাঁর পুজো করা হয়। মর্ত্যলোকে দেবীর আরাধনার জন্য মূর্তি গড়া হয়। এর পরে মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেবী তাতে অধিষ্ট হন। কিন্তু দশমীর দিন এই মাটির দেহ ত্যাগ করেই তিনি ফিরে যান স্বামীর কাছে। তখন মাটির দেহটি প্রাণহীন হয়ে পড়ে।