দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে সক্রিয়তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুনভাবে ষড়যন্ত্র। এবার সয়ং বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদকে নিয়ে চক্রটি গভীর নীল নকশা করেছে। এম এ রশিদকে নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনের এমপি হিসেবে দেখতে চাই এমন ফেস্টুন দিয়ে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে সাটিয়ে রেখেছে।
বন্দর উপজেলা সর্বস্থরের জনগণের দাবী এমন ব্যানার দেখে স্বয়ং চেয়ারম্যান এম এ রশিদ অনেকটা বিস্মিত হয়ে পড়েন। কে বা কারা রাতের আধারে মদনগঞ্জ -মদনপুর সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ফেস্টুনগুলো সাটিয়ে রাখে। যা নিয়ে রাজনৈতিকসহ সর্ব মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ বলেন, আমি কোনদিনতো বলি নাই এমপি হতে চাই। আমার এমপি হওয়ার কোন ইচ্ছাই নাই। যতদিন বাচঁবো শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে থাকতে চাই। বন্দরের আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে নি¯Íব্ধতা করতে তৃতীয় শক্তিটি সক্রিয় হয়ে কাজ করছে। আমি এমপি হতে চাই আমার কোন খবর নাই, অথচ নিজের টাকা খরচ করে যারা এমন একটি হীন কাজ করেছে তা ভাল করে নাই। রাজনীতিতে নিজ দলে প্রতিপক্ষ থাকতে পারে আর এটা স্বাভাবিক।
কিন্তু এমন সময়ে এ নোংরামি ঠিক না। দলের কথা চিন্তা না করে যারা ব্যাক্তিস্বার্থ হাসিলে রাজনীতি করে তাদের উদ্দেশ্য তিনি আরো বলেন, কে কোন আসনে এমপি নির্বাচন করবে তা নির্ধারন করার ক্ষমতা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আমি এমপি হিসেবে নমিনেশন চাওয়ার কে? জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে এমন নোংরামিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য বলেন, আরে ভাই আমি এম এ রশিদ বলি নাই এমপি হতে চাই। অতি উৎসাহিত কোন বিষয় ভাল ফল ভয়ে আনে না। দল ও সংগঠনের স্বার্থে আমি সকল কিছু করতে প্রস্তুত।
দলে থেকে তৃতীয় শক্তির হয়ে কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে বাধ্য কইরেন না। কে বা কারা এমন নোংরামি করতে পারে তা অনেকটা পরিস্কার হলেও দলের স্বার্থে চুপ করে আছি। সাবধান হয়ে যান দলের স্বার্থে আমি এম এ রশিদ কিš‘ এক বিন্দু পরিমান ছাড় দিব না।
বন্দর উপজেলা আথলীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন বলেন,এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ ভাই অত্যন্ত ভাল লোক। সে কখনো এমপি হওয়ার কথা বলে নাই। তবে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কুচক্রী মহলের কাজ। আমি এমন ঘৃন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফয়সাল কবির বলেন,একটি কুচক্রী মহল আমাদের বন্দর উপজেলা আথলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ ভাইকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এমপি হিসেবে দেখতে চাই এমন ফেষ্টুন বিভিন্ন স্থানে সাটিয়ে দিয়েছে। আমরা রশিদ ভাইয়ের নির্দেশে এই ফেষ্টুনগুলো সরিয়ে ফেলেছি। রশিদ ভাইয়ের এমপি হওয়ার কোন ইচ্ছা নাই। সে মাটি ও মানুষের নেতা। শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে সে সব সময় থাকতে চায়। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
এ ব্যাপারে বন্দর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ বলেন, বন্দর উপজেলা আথলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ ভাইকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই এমন ফেষ্টুন যারা করেছে তারা ভাল করে নাই। মায়ের চেয়ে মাসির ধরদ বেশি ভাল না। এখানেই আছে আতাতকারীদের ছায়া। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন আমরা তার পক্ষেই কাজ করব।