দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্তে মুক্তি ও অবৈধ সরকারের পদ ত্যাগের দাবির ব্যানারে ঢাকা সমাবেশে যোগদান করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বৃত্ত অংশ।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সমাবেশ সফল করার উদ্দেশ্যে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান করে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ঢাকাস্থ ফকিরাপুল পারাবত হোটেলের সামনে জড়ো হতে শুরু করে।
পরে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সমাবেশস্থলে যোগদান করেন। এসময়ে নেতাকর্মীরা দলীয় ব্যানার, ফেসটুন নিয়ে সরকার বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে মিছিল পুর্বক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আজকের এই সমাবেশকে পন্ড করার জন্য অবৈধ সরকার রাতে নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযানের নামে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরন করেছে। শহরের অধিকাংশ পরিবহন বন্দ করে দেওয়া হয়েছে। তবুও জিয়া সৈনিকদেরকে থামাতে পারেনি। সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে এই অবৈধ সরকারের পতন আন্দোলনে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগদান করেছে।
এসময় তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কোন ভয়ভীতি দেখিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরানো যাবে না। আমাদের দাবি মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্তে মুক্তি ও অবৈধ সরকারকে পদ ত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত¡বধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে হবে।
কারন এই সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির পাশাপাশি দুর্নীতি করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতার লোভে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী অশালিন বক্তব্য দিতে শুরু করেছে।
আজকে দেশের সাংবাদিক, প্রশাসন ও সেনাবাহিনীকে ন্যায কথা বলতে দিচ্ছে না। এখন দেশের মানুষ সুন্দর শুষ্ঠ নির্বাচনের পাশাপাশি একটি স্বাধীন দেশ চায়। যেটা এই অবৈধ রাতের ভোট চোর সরকারের পতনের কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আজকে আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ হয়েও অবৈধ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের কারনে বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার হারিয়ে পরাধীনতায় আবদ্ধ। দেশের মানুষ এখন পরিবার পরিজন নিয়ে ঠিকমত খেতে পাচ্ছে না।
আবার অবৈধ সরকারের মন্ত্রী বলে আমরা বেহেস্তে আছি এই হলো আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা। বিরোধী দমনে ভোটচোর সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে গুম, খুন, মামলা হামলা দিয়ে হয়রানী করছে। তবে একটা কথা বলে দিতে চাই কোন রক্তচোখুর ভয় দেখিয়ে জিয়ার সৈনিকদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে দমানো যাবে না। আপনাদের পতন সুনিশ্চিত পালাবার চেষ্টা করেও পালাতে পারবেন না। এদেশের জনগণই আপনাদের বিচার করবে।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী ফারুক হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য ও সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব আওলাদ হোসেন, যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, দিদার খন্দকার, হাজী সোহেল, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, বন্দর থানা বিাএনপির আহবায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক ও কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, সাফী, ফারুক চৌধুরী, আল-মামুন, মো¯Íাক আহম্মেদ,
বন্দর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. বিলøাল হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিব মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মাহমুদ,
মহানগর বিএনপি নেতা পনির ভূইয়া, মীর নির্ঝর, আমজাদ হোসেন, শহীদ হাসান, রাশেল, আলম আব্দুল হামিদ ভাষানী, আমির হামজা, মহিবুল, আব্দুল মান্নান, আমিনুল, দেলোয়ার শাহ, নিলয় সহ মহানগর বিএনপির প্রতিটি ইউনিট ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।