দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ সার্ভারের সমস্যা তাই ব্যহত হচ্ছে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি সংক্রান্ত কাজের। তবে বেশ কয়েকদিন যাবত এ সমস্যা দেখা দিলেও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ তেমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা এমনটাই অভিযোগ থানায় জিডি করতে আসা ভুক্তভোগীদের।
থানায় জিডি (সাধারন ডায়েরী ) করতে আসা একাধিক মানুষ জানান, ব্যক্তিগত কোন জিনিসপত্র হারানো,পরিবারের কোন সদস্য নিখোঁজ, অপরাধী কর্তৃক ভয়ভীতিসহ নানা প্রকার বিষয়ে সাধারন মানুষ থানায় আসেন সাধারন ডায়েরী করতে। কিন্তু বর্তমানে থানার পাশে থানা কম্পিউটারের দোকান থেকে বলা হচ্ছে যে,সার্ভারের সমস্যা থানার কারনে সাধারন ডায়েরীগুলো তারা করতে পারছেনা।
কিন্তু থানার ভেতরে থাকা কম্পিউটার অপারেটর আরিফের মাধ্যমে একটি জিডি তৈরী করতে সেখানে প্রচুর পরিমানে টাকা গুনতে হচ্ছে। তবে বাহিরে থাকা কম্পিউটার দোকানগুলো ৩শত টাকা নিলেও থানার কম্পিউটার অপারেটর আরিফ সাহেব ৩ থেকে ৪গুন পরিমানে টাকা নিচ্ছেন একটি জিডি তৈরীতে।
এছাড়াও অনেক ভুক্তভোগী জানান, থানায় মুলত সাধারন মানুষগুলো অভিযোগ কিংবা সাধারন ডায়েরী করতে আসেন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়া, চুরি হওয়া,মানুষ নিখোঁজ কিংবা বিভিন্ন কারনে অপরাধী কর্তৃক সাধারন মানুষকে হুমকী প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে থানাতে আসেন জিডি করতে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে প্রায় ১০ দিন যাবত ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করতে আসলে তা করানো যাচ্ছেনা সার্ভারের সমস্যা অযুহাতে।
আমরা সাধারন মানুষ মুলত থানার পাশে কম্পিউটার থেকে সমস্যাগুলো লিখেই থানায় ডিউটি অফিসারের কাছে যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারি যে সার্ভারের নাকি সমস্যা। আবার থানার ভেতরে থাকা কম্পিউটার অপারেটর আরিফ সাহেবকে মোটা অংকের টাকা দিলেও সহজেই জিডি করানো যায়। থানার বাহিরে কম্পিউটার দোকানে যে জিডির জন্য ৩শত টাকা দিতে হয় সেখানে থানার ভেতরে দিতে হয় ১ হাজার থেকে ১২শত টাকা।
এ বিষয়ে থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হলে ১দিন সার্ভারটি খোলা থাকলেও পরবর্তীতে আবারো বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে জিডি করতে আসা সাধারন মানুষকে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.নুরে আযম মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সার্ভারের সমস্যার বিষয়টি আমার নলেজে নেই। তবে আমি বিষয়টি দেখছি।