দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনকে ‘একপেশে এবং সরকারবিরোধী’ উল্লেখ করে সংস্থাটিকে ‘বিএনপির দালাল’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, টিআইবি বিএনপির সুরে কথা বলে। ইতিহাস বলে, তারা সবসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিল। তারা সবসময় বিএনপির পক্ষে কথা বলে। তাদের গবেষণার নিরপেক্ষতা আমরা খুঁজে পাইনি।
তিনি বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান আছে দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলে। একশো জন মারা গেলে পাঁচশো জন বানিয়ে দেয়। টিআইবিও তাদের মতো। এই টিআইবি বলেছিল, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ অসম্ভব। একই কথা সিপিডিও (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালয়) বলেছিল। মনে রাখতে হবে, কিছু কথা বলা হয় শুধুই পাবলিক পারসেপসনের জন্য। মামলা দিয়ে সবকিছু সমাধান হয় না, তাদের রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। কথা বা তর্কের মাধ্যমে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।
নির্বাচন-পরবর্তী বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে রণকৌশল থাকবেই। আমাদেরও দ্বন্দ্ব-কোন্দল আছে, থাকবেই। এগুলো সব দলেই আছে। রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব থাকবেই। এসব নিয়েই আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে যত সমস্যাই থাকুক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এসব নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার এখনো পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আছে। আওয়ামী লীগের বোর্ড সভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি নতুন সরকারের প্রথম সংসদ অধিবেশন। সেই অধিবেশনে বিরোধী দল কে হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে বিরোধী দল কারা হবে সংসদ চালু হলেই তা বোঝা যাবে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে তিনি বলেন, দোষারোপ নয়, বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এজন্য শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ অন্য সব ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলো বাস্তবতার নিরিখে তাদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে।
৩০ জানুয়ারি বিএনপি হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচির ডাক দিতে পারে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির হরতাল-অবরোধ এখন রাজনীতির মরচে ধরা হাতিয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।