দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে আসামী ধরতে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত আখ্যা দিয়ে তাদেরকে মারধর করেছে স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগে দায়ের মামলার আসামী সাজিদ মিয়ার স্বজন ও এলাকাবাসী। এতে আহত হয়েছেন সাজিদের শ্বশুরও। এ সময় সুযোগ বুঝে স্ত্রীকে নিয়ে হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে গেছেন ওই যুবক।
গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের দামোদরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় বুধবার ৩০ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৫জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানা পুলিশের ওসি তদন্ত মো.মহসিন ।
জানা যায়, সম্প্রতি প্রেমের সূত্র ধরে আড়াইহাজার উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল গাফফার সরকারের মেয়ে প্রভা সরকার ও সোনারগাঁয়ের দামোদরদী গ্রামের নাজিমউদ্দিনের ছেলে সোনারগাঁ সরকারি কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্র সাজিদ মিয়া বিয়ে করেন। এ নিয়ে প্রভার পরিবারের আপত্তি ছিল, তারা তাকে একাধিকবার ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। তবে প্রভা প্রতিবারই পালিয়ে স্বামী সাজিদের বাড়িতে চলে যান।
গত ৯ জানুয়ারি সাজিদের বাড়িতে যাওয়ার পর ২১ তারিখ সেখানে বেড়াতে আসেন প্রভার বাবা ও মা। ফিরে গিয়ে সাজিদের নামে অপহরণ মামলা করেন আবদুল গাফফার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে আসামি ধরতে আসেন আড়াইহাজার থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নূরে আলম। তাকে সহায়তা করেন সোনারগাঁও থানার এসআই আলমগীর হোসেন ও কনস্টেবল পারভেজ। সঙ্গে ছিলেন আবদুল গাফফার। পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকে গিয়ে সাজিদকে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে বাড়ি থেকে নেওয়ার সময় ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে সাজিদের স্বজনরা ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাজিদের চাচা ইলিয়াস মিয়া, প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর, আমজাদ হোসেন, মামুন ও মারুফকে আটক করে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, প্রভাকে উদ্ধার ও সাজিদকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, অপহরণ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানটি চালানো হয়েছিল। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।