দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর “শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়া কথিত স্বামী শাওন @ ফরহাদ @ শাকিলকে”গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
সোমবার ( ৫ ফেব্রæয়ারী ) সকাল সাড়ে ১১টায় ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আটক শাওন @ ফরহাদ (২৩) পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া কমলার দীঘিরপাড় এবং
উত্তর মাসদাইর সদর্শন বাবুর বাড়ীর ভাড়াটিয়া মোঃ ফরিদ গাজীর ছেলে।
র্যাবের এএসপি সনদ বড়–য়া স্বাÿরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানানো হয় যে, নিহত তরুনীর নাম তাসনিম (২২)। সে বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল থানার রানিদিয়া গ্রামের সায়েদ মিয়ার মেয়ে। সে মাসদাইরস্থ আমানা গার্মেন্টসে চাকুরী করতো। গত ১লা জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার কালাইয়া কমলার দিঘীর পশ্চিম পাড়ের ফরিদ গাজীর ছেলে শাকিল ওরফে শাওন ওরফে ফরহাদ নিহত ভিকটিম তাসনিমকে নিয়ে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন।
জানা যায়, বিগত ৩/৪ পূর্বে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় অবস্থিত আমানা গার্মেন্টসে কাজ করতেন। ওই গার্মেন্টসের পাশেই একটি বাড়িতে তারা দুজন ভাড়া থাকতেন। শাকিল ওরফে শাওন নিথর অবস্থায় তাসনিমকে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান শাওন। চিকিৎসকের ধারণা, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ফতুলøা থানায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করেন। “হত্যা মামলার” অন্যতম প্রধান আসামী ও চাঞ্চল্যকর অপরাধী শাওন @ ফরহাদ @ শাকিল (২৩) হত্যাকাÐের পর থেকে আত্মগোপনে ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী’কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ফতুলøা থানার নিকট হ¯Íান্তর করা হয়েছে।