দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন প্রবেশমুখে পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদা আদায়কালে হাতেনাতে ২৫ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। আটককৃতদের মধ্যে ১৩ জন চাঁদাবাজকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদী কারাদন্ড প্রদান করে কারাগারে প্রেরণ ও ১২ জন চাঁদাবাজকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এই সময় তাদের হেফাজত হতে বিপুল পরিমাণ চাঁদাবাজির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
রবিবার ( ৪ ফেব্রুয়ারী ) সড়কে সবজি ও অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকারী নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন প্রবেশমুখে পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদা আদায়কালে হাতেনাতে ২৫ জন চাঁদাবাজকে আটক করে র্যাব-১১।
র্যাব-১১ এএসপি সনদ বড়–য়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, সম্প্রতি পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজির কারণে অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। সড়ক-মহাসড়কে এসব বাড়তি খরচের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। যার ফলে সবজির মৌসুমেও কমছে না সবজির দাম। পণ্য পরিবহণে চাঁদাবাজির ঘটনা মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ায় এই সমস্যা সমাধানে চাঁদাবাজদের গ্রেফতারে নজরদারি বাড়ায় র্যাব-১১।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা নারায়ণগঞ্জের প্রবেশমুখে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে। তথাকথিত ইজারাদারদের নির্দেশে কয়েকটি গ্রæপে ভাগ হয়ে প্রতি রাতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও দেয়। ড্রাইভাররা তাদের চাঁদা দিতে না চাইলে তাদের গাড়ি ভাঙচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এদের কাছে দূরপালøার পণ্যবাহী ট্রাক ড্রাইভাররা ও ব্যবসায়ীরা জিম্মি। এই বাড়তি খরচের ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আটককৃত চাদাঁবাজদের মধ্যে ১৩জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয় এবং ১২জনকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বিভিন্ন মেয়াদী কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলোঃ মোঃ জুয়েল আহমেদ,মোঃ শফিকুল ইসলাম,আব্দুর রহমান,আশরাফ উদ্দিন,খলিল, মোঃ ওমর ফারুক, মোাঃ ওমর ফারুক, হাসান মাসুম, মোঃ বিপ্লব খান,মোঃ ফরহাদ,মোঃ আসিফ,মোঃ আতিকুর রহমান, মারুফ হোসেন এবং অর্থদন্ড প্রাপ্তরা হলেন মোঃ কবির হোসেন, রানা, মোঃ রাজিব, দিপু, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মোঃ সুমন খান লাল, আব্দুর রহমান মুন্না, মোঃ সোহেল,আল আমিন,মোঃ ইশবাল, মোঃ রকিবুল হাসান এবং মোঃ রাসেল।