দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং সাবেক সাংসদ মরহুম হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদের ৩7 তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দিন ব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে বাদ এশা পর্যন্ত কবর জিয়ারত, কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া সহ বিভিন্ন আয়োজন করা হয়।
এদিকে, বাদ যোহর নবীগঞ্জ কদম রসূল দরগাঁ সংলগ্ন এলাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়া পূর্বক মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল এবং মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী এবং এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময়ে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আজকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি শক্তিশালী হওয়ার পিছনে আমার চাচা মরহুম হাজী জালাল উদ্দনি আহমদেরে অনেক অবদান রয়েছে সেটা কখনই ভুলার নয়। যত দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থাকবে ততদিন প্রয়াত হাজী জালাল উদ্দনি আহমেদের নাম ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।
তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ ৫ (সদর-বন্দর) আসনে যে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড করেছেন সেটার সুফল আমরা পাচ্ছি। আজকে আপনাদের উপস্থিতিই বলে দেয় চাচাকে আপনারা কতটা ভালবাসতেন। আপনারা আমার চাচার জন্য দোয়া করবেন মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাকে জান্নাত নসিব করেন।
আবুল কাউছার আশা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাথে মিলিত হয়ে মরহুম জালাল হাজী একটি তলাবিহিন দেশের হাল ধরে ছিলেন। তিনি এমপি থাকাকালিন সকল রাজনীতবিদিদরে নিয়ে তৎকালিন নারায়ণগঞ্জ জেলার মানুষের প্রাণের দাবি খানপুর হাসপাতাল (বর্তমান ৩শ শয্যা), গণবিদ্যা উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল র্টামিনাল, বন্দর হাজী সিরাজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজ, নারায়ণগঞ্জ সহ একাধিক মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠা ন গড়ে তুলেন।
এছাড়াও পলিও টিকা সহ শিশুদের সকল টিকা সরকারী ভাবে বিনামূল্য বিতরণ, রাস্তাঘাট উন্নয়ন,নারায়ণগঞ্জ পৌরসভাকে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।
পাশাপাশি তৎকালিন সময় বিএনপির মত একটি নতুন দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তার সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নারায়ণগঞ্জে জাতীয়তাবাদী দলের একটি মজবুত ফাউন্ডেশনে তৈরি করেন।
জিয়াউর রহমান তাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তা তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করেন আমৃত্যু পযর্ন্ত। আজকে তাদের পরিশ্রমের ফসল আপনাদের চোখের সামনে।
আমার দাদার মৃত্যুর পর সেই দায়িত্ব মাথায় নিয়ে নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন আমার বাবা, চাচা ও আমার পরিবার। আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেনতিনি খুবই অসুস্থ্য। সেই সাথে মরহুম জালাল হাজীর রুহের মাগফেরাত কামনায় আপনাদের দোয়া চাইছি।
এদিকে, প্রয়াত হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদের ৩৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা কদমরসূল কবরস্থানে সকাল থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পাশাপাশি তার রুহের মাগফেরাত কামনায় অংশগ্রহন করেন।
এছাড়াও পরিবারের পক্ষ থেকে সকাল ৭ টায় বন্দর কবর স্থানে কোরআন খতম, বেলা ১১ টায় কবর জিয়ারত, বাদ যোহর মিলাদ ও দোয়া শেষে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অসহায়দের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন করা হয়।