দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: সোহান সরকার বলেছেন, আমরা আপনাদের বন্ধু হতে চাই। আমরা জনতার পুলিশ। আমরাও আপনাদের মত সাধারণ মানুষ, আমারও পরিবার আছে। আবার আপনাদের পরিবারের অনেকে পুলিশ আছে।
আমরা সবাই মিলে পুলিশ পরিবার। আপনারা আপনাদের সমস্যার কথা বলেছেন। এখানে ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং ও মাদকের সমস্যা রয়েছে। আপনারা খুব শিঘ্রই এদের তালিকা করবেন। এটা আপডেটেড হতে হবে। দায়সারা তালিকা যেন না হয়, আপডেট তালিকা করতে হবে।
অপরাধ দমনে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নাই। জনপ্রতিনিধি ও আপনারা এগিয়ে এলে অপরাধীরা পালানোর সুযোগ পাবেনা। পুলিশের একার পক্ষে অপরাধ দমন সম্ভব নয়। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
রোববার (২৪ মার্চ) নবীগঞ্জ ২৩নং ওয়ার্ড কার্যালয় প্রাঙ্গনে বন্দর থানা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন,প্রকাশ্যে অনেকে হয়ত বলতে চান না। ডিউটি অফিসারদের নাম্বার আছে। আপনারা প্রয়োজনে মেবাইলে এসএমএস দিয়ে অপরাধীদের কথা জানাবেন। আপনাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। বর্তমানে যারা সক্রিয় তাদের নাম আমরা জানতে চাই। প্রথমে আমাদের তথ্য দরকার। তারপর আমরা এ্যাকশনে যাবো। আমরা চাইলে সবকিছু পারি এটা সত্য নয়।
আমাদেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের জনবলের ঘাটতি আছে। আমাদের পেট্রোলিং করতে হয় আবার তদন্তও করতে হয়। আপনারা আমাদের স্পটগুলো জানাবেন। কোন কোন স্পটে ওরা এ সকল কাজগুলো করে। দ্রুত আমরা অপরাধী সনাক্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করব।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের সাথে আলাপ করে চেষ্টা করবো। দিনের বেলা সিমেন্টের গাড়িগুলো যেন না চলে। নারায়ণগঞ্জের আরেকটা সমস্যা হল এখানে অনেক অটোরিকশা চালক খুন হয়। আপনারা সচেতন হয়ে চলবেন। রাতের বেলা যাত্রীদের কেউ দূরে যেতে চাইলে মোবাইলে কল দিয়ে পাঁচ সেকেন্ড রেখে কেটে দিন। তাহলে এটা ট্রেস করা যাবে। তাহলে সে যত খারাপই হোক এগুলো করতে সাহস পাবে না।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা।
এ সময় কাউন্সিলর আবুল কায়সার আশা কিশোরগ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন,বিগত সময়ে আমার ওয়ার্ডে মাদকের ছড়াছড়ি ছিল। এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রিত থাকলেও মাদক ও কিশোর অপরাধ কিন্তু উৎপাটন হয় নাই। কিশোর অপরাধ থেকেই মাদকে আসক্ত হয়ে বড় বড় অপরাধ ঘটতে পারে। এই ওয়ার্ডে কদম রসুল দরগা রয়েছে। যার কারনে এই ওয়ার্ডে আমাদের পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরী। প্রশাসনের আন্তরিকতা থাকলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সচেতন করতে আমরা সকলে মিলে এই ওয়ার্ডটি একটি সুশৃঙ্খল ওয়ার্ড গড়তে পারব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কদম রসুল কলেজের প্রভাসক সাইদুর রহমান,আনোয়ার মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠা প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন,বন্দর থানা পরিদর্শক(তদন্ত) আবু বকর ছিদ্দিক,সেকেন্ড অফিসার সাইফুল আলম পাটোয়ারী,বিট অফিসার রোকনুজ্জামান প্রমূখ।