দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সিএনজি ষ্ট্যান্ডে চলছে হত্যা মামলায় জেলখাটা আসামী রিপন সরদারের চাঁদাবাজী। প্রতিদিন প্রায় ২শতাধিক গাড়ী থেকে মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
লক্ষ্য করলে দেখা যায়, নগরীর চাষাড়া মহিলা কলেজ সংলগ্ন রেল লাইন ও রাইফেল ক্লাবের সামনে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সিএনজি ষ্ট্যান্ডে চলছে রিপন সরদারের চাঁদাবাজী।
এছাড়াও প্রয়াত নেতা নাসিম ওসমান ও তার ছেলে আজমেরী ওসমানের ছবি টানিয়ে রেলওয়ের জমি দখল করে সেখানে গড়ে তোলা অবৈধ ষ্ট্যান্ডের পাশাপাশি ঐ এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের জিম্মি করে মাসোহারা করে নিচ্ছে নিজের ইচ্ছে মত।
সেই সাথে তার কথার বাহিরে গেলে কথিত নাছির ভাইয়ের সন্ত্রাসী বাহিনীদের দিয়ে তুলে নিয়ে লোকান্তে চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরিয়তপুর জেলার এক অজপাড়া গাঁয়ের ছেলে রিপন সরদার অভাবের তাড়নায় নারায়ণগঞ্জে এসে প্রথমে ধনীদের গাড়ী ধোয়া-মোছার কাজ শুরু করে। পরে তৎকালিন সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্রসফায়ারে নিহত মোমিন উল্লাহ্ ডেভিডের আশ্রয়ে চাষাড়া টেক্সিট্যান্ড থেকে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে। পাশাপাশি পেয়ে যায় চাষাড়া শহীদ মিনার সংলগ্ন পৌর টয়লেটের দ্বায়িত্ব। সেই থেকে রিপন সরদার টয়লেট রিপন নামে পরিচিত লাভ করে।
এরপরে দেশের সরকার পরিবর্তন হলেও রিপন সরদারের ক্ষমতার কোন কমতি হয়নি। বেশ কিছুদিন আওয়ামীলীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলাল ও তার ছোট ভাই সাহাদাত হোসেন সাজনুর শেল্টারে চলে তার অবৈধ ষ্ট্যান্ডের চাঁদাবাজী।
হঠাৎ করেই দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ভাটা পরে রিপন সরদারের কপালে।
অবৈধ ভাবে দখল করা রেলওয়ের জমি উছেদের পর রিপন সরদার কোন পথ না পেয়ে চলে যায় নিজ গ্রামে। সেখানে বেশ কিছু দিন দিব্বি আরামে থাকলেও নেশায় আসক্ত রিপন সরদার হয়ে যায় পথে ফকির। সেখানে মাছের ঘেরে নাইটগার্ডের চাকরী নেয় সে। রাতে দ্বায়িত্ব পালনকালে সহযোগীদের একজনকে হত্যা করার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
সেই মামলায় বহুদিন কারাভোগ করে রিপন সরদার। হঠাৎ করে কথিত নাছির ভাইয়ের সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে আবারো দ্বায়িত্ব পান চাষাড়া মহিলা কলেজ সংলগ্ন রেল লাইন ও রাইফেল ক্লাবের সামনে অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ডের। এরপর থেকেই শুরু হয় রিপন সরদারের অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ডের চাঁদাবাজী।
এ বিষয়ে টি আই ইমরান বলেন, মহিলা কলেজ সংলগ্ন রেল লাইন ও রাইফেল ক্লাবের সামনে কোন সিএনজি ষ্ট্যান্ড নাই। থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।