দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ কত মানুষ নিহত, এখনও অজানা— এটি সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় এ পর্যন্ত কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এর সঠিক সংখ্যা এখনও অজানা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সোমবার পর্যন্ত ১৫০ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলো, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৬৬। অন্যদিকে একটি মানবাধিকার সংগঠনের ধারণা, নিহত ২৫০ জনের কম নয়। আর ১৬ থেকে ২১ জুলাইয়ের এ সংঘাতে সমকাল ২০৮ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে।
তবে সব হাসপাতাল এবং এলাকার তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি সমকাল। কোনও কোনও পরিবার দাবি করেছে, তাদের স্বজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
ঢাকায় গ্রেপ্তার ৮৭ শতাংশের রাজনৈতিক পরিচয় নেই দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার এই প্রধান শিরোনামে বলা হচ্ছে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ঢাকায় ২৭০টি মামলায় দুই হাজার ৮৯১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক হিসাব বলছে, গত সোমবার পর্যন্ত রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ২৪৩টি মামলায় মোট দুই হাজার ৬৩০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে দুই হাজার ২৮৪ জনেরই কোনও রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি, যা মোট গ্রেপ্তারের ৮৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ, কোনও দলের সঙ্গে তাদের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বিএনপি’র নেতা-কর্মী আছেন ২৬৯ জন, জামায়াতের ৬৩ এবং শিবিরের আছেন ১০ জন। এ ছাড়া, গণ অধিকার পরিষদের তিন এবং জেপি’র আছেন একজন, যা মোট গ্রেপ্তারের ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ।
‘রক্ত লাল’ প্রতিবাদ দেশ জুড়ে মানবজমিন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রক্ত লাল’ প্রতিবাদে গতকাল সরব হয়েছিল পুরো দেশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে এই প্রতিবাদ চলেছে অনলাইন ও অফলাইনে।
মূলত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বিচারে গুলিতে বহু হতাহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে সরকার দেশব্যাপী শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেয়, ঠিক তখন লাল রঙে প্রতিবাদে শামিল হতে ভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক।
লাল রঙের কাপড়ে মুখ ও চোখ বেঁধে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্রোফাইলে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। শিক্ষার্থীদের এ আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনীতিক, শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, লেখক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ।
দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার এই প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদেরকে ‘হয়রানি’, ‘আটক’ ও ‘নির্যাতন’ বন্ধের দাবিতে মুখে লাল কাপড় দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চোখ ও মুখে লাল কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করে। এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্যরা গতকাল শিক্ষার্থীদের হয়রানি, আটক ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মুখে লাল কাপড় দিয়ে বিক্ষোভ করেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও একই দাবিতে লাল কাপড়ে মুখ ঢেকে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। একই দাবিতে খুলনা ও টাঙ্গাইল জেলায় কলেজ শিক্ষার্থীরা সড়কের মোড়ে মোড়ে অবরোধ করেছেন।
ম্যান্ডেট অনুসারে ব্যবস্থা নিতে পারে জাতিসংঘ— নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও নৃশংসভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীরভাবে বিচলিত জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
সোমবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের চলমান সঙ্কটময় পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে এবং যেকোনও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হলে ম্যান্ডেট অনুসারে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ।
ব্রিফিংয়ের শুরুর দিকে পোডিয়াম থেকে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের বিবৃতি পড়ে শোনান ডোজারিক। এতে ডোজারিক বলেন, সব ধরনের সহিংসতার ঘটনা দ্রুততা, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সাথে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব।
“আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব প্রমাণিত খবর জানা গেছে, তা নিয়ে মহাসচিব বিচলিত।”
জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন আজ— ইত্তেফাক পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে আজ বুধবার নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ্রে কথা বলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
এবারও যদি ১৯৪১ সালে সাইয়েদ আ’লাম মওদুদির প্রতিষ্ঠিত দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়, তবে এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো নিষিদ্ধ হবেন তারা। সর্বশেষ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে গণহত্যায় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা দেয়। সেসময় দলের নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যায়।
তদন্তে বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে কালের কণ্ঠ পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় আহতদের দেখতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে গণভবনে জার্মান রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু, মানসম্মত তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। আঘাতের তীব্রতা দেখে এবং হামলার নৃশংসতার কথা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি এবং এ সময় তিনি অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি।
পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ চায় বিকেএমইএ— যুগান্তর পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের কাছে স্বল্প সুদে ঋণ এবং বেশকিছু নীতি সহায়তা চেয়েছে বিকেএমইএ।
শ্রমিকদের এক মাসের (জুলাই) বেতন পরিশোধের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণসহ চার দফা প্রস্তাব জানিয়ে রোববার অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়।
অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে এ শিল্পে চলমান ঋণের কিস্তি ছয় মাসের (জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত) জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক স্থগিত, বন্দরে জটের কারণে কনটেইনার খালাস বিলম্ব চার্জ এক মাসের জন্য মওকুফ এবং ইন্টারনেট সেবা দ্রুত পুরোপুরি চালু করার দাবি জানানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিকেএমইএ সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, আজ ‘মার্চ ফর জাস্টিস’— দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, ‘হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম, খুনের প্রতিবাদ ও জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্ত করে বিচার’ এবং ছাত্রসমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ে বুধবার ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদের সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, গতকাল সারা দেশে শোকপালনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ওই দিন রাতে রাষ্ট্রীয় শোক প্রত্যাখ্যান করে মুখ ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তোলার কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক।
বিদ্যুৎ-জ্বালানির নিরাপত্তা রক্ষায় বিশেষ বাহিনী— সংবাদ পত্রিকার প্রধান শিরোনামে বলা হলেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গ্যাস ফিল্ড, জ্বালানি তেলের ডিপোসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিশেষায়িত ও পৃথক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তাই, কেপিআইয়ের আওতায় ওইসব স্থাপনায় আনসার বাহিনীর সদস্য নিযুক্ত থাকলেও তা বড় ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে যথেষ্ট নয়।
আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভকারীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের সাব-স্টেশন ও বিদ্যুৎ অফিসে হামলা, ভাঙচুর, বিতরণ লাইন ও কমিউনিকেশন সিস্টেমে ভাঙচুরসহ জরুরি বিদ্যুৎ সেবায় নিয়োজিত যানবাহনে আগুন দিয়েছে।
ওই সময় দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুরোপুরি অচল করে দেয়ার পরিকল্পনা নাশকতাকারীদের ছিল বলেও দাবি করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।