1. [email protected] : adeleallman4077 :
  2. [email protected] : The Bangla Express : The Bangla Express
  3. [email protected] : chaslegge226479 :
  4. [email protected] : christelgalarza :
  5. [email protected] : ericblackwood3 :
  6. [email protected] : faustochauvel0 :
  7. [email protected] : gabrielewyselask :
  8. [email protected] : Jahiduz zaman shahajada :
  9. [email protected] : justinstella26 :
  10. [email protected] : lillieharpur533 :
  11. [email protected] : mattjeffery331 :
  12. [email protected] : minniewalkley36 :
  13. [email protected] : sheliawaechter2 :
  14. [email protected] : Skriaz30 :
  15. [email protected] : Skriaz30 :
  16. [email protected] : social84c97032 :
  17. [email protected] : user_3042ee :
  18. [email protected] : The Bangla Express : The Bangla Express
  19. [email protected] : willierounds :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
শেখ হাসিনার সঙ্গে কারাগারে বসে কথা হয় সালমান এফ রহমান চাঁদাবাজির দখল আধিপত্য সংস্কৃতি বহাল মেঘনা গ্রুপের টিস্যু ফ্যাক্টরির ভবনে অগ্নিকাণ্ড সোনারগাঁওয়ে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও জুলুমবাজদের প্রতিহত করা হবে: রেজাউল করিম বন্দরে নবাগত ইউএনও’র সাথে উপজেলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ফতুল্লায় পোশাক কারখানায় আগুন সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে মারধর করলো ছাত্রদল নেতা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পরও কোন অদৃশ্য শক্তির বলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা! বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের মাসিক সভা বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মহানগর মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের র‌্যালি অনুষ্ঠিত

কোটা সংস্কার আন্দোলন অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্যপ্রমাণ মিলেছে: জাতিসংঘ

দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস
  • Update Time : বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪
  • ৫৫ Time View
jattisongo

দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ছাত্রদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে তিনি বাংলাদেশ ইস্যুতে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।

এরপর প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করেন। শুরুতেই বিবৃতিতে তিনি সব রকম সহিংসতার দ্রুত, স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতিত্বহীন তদন্তের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এর জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

ডুজাররিক বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে আমার কাছে আপডেট আছে। আমি আপনাদের বলতে পারি- বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

তিনি নতুন করে ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার বিষয়ে অবহিত এবং তিনি শান্তি ও সংযমের জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বর্তমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হাজারো তরুণ এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের গণগ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

ডুজাররিক জানান, নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ।

এ বিষয়ে রাজধানী ঢাকায় এবং নিউইয়র্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জাতিসংঘের উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে সেনা পাঠানো শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাই। বাংলাদেশের ভেতরে জাতিসংঘের চিহ্ন সম্বলিত কোনো যানবাহন আর ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতি আমরা পেয়েছি। আমরা এটা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই এবং আবারও বলতে চাই যে, জাতিসংঘে সেনা ও পুলিশ দিয়ে অবদান রাখা দেশগুলো শুধু তখনই জাতিসংঘ চিহ্নিত এবং জাতিসংঘের চিহ্ন সম্বলিত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে, যখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসেবে কোনো ম্যান্ডেটেড কাজ দেওয়া হয়।

ডুজাররিকের বিবৃতির পর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।

এ সময় একজন সাংবাদিক তাকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বর্ণনা দিতে থাকেন। তাতে বিরক্তি প্রকাশ করেন স্টিফেন ডুজাররিক। এর আগের দিন এক ব্রিফিংয়েও ওই সাংবাদিককে ডুজাররিক তার প্রশ্নের মাঝপথে থামিয়ে দিয়েছিলেন। ডুজাররিক তাকে বলেছিলেন, আমি বক্তব্য শুনতে চাই না। আপনার প্রশ্ন করুন। সোমবারও একই রকম অবস্থার অবতারণা হয়। ওই সাংবাদিককে থামিয়ে দেন।

তিনি বলেন, আমি পরিস্থিতি সম্পর্কে জানি। আমি আপনাকে ১০ সেকেন্ডও বক্তব্য দেওয়ার জন্য দেব না। আমি প্রশ্ন শুনতে চাই। ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ সরকার পুনর্ব্যক্ত করেছে, সব হত্যাকান্ড এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ন্যায়বিচার করা হবে পক্ষপাতিত্বহীন এবং বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের শনাক্ত করে। বাংলাদেশ আহ্বান…

ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন শেষ না হতেই তাকে থামিয়ে দেন ডুজাররিক। তিনি বলেন, নো, স্যার। আমি পরিস্থিতি সম্পর্কে জানি। আমি আপনাকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ১০ সেকেন্ডও সময় দেব না। প্রশ্ন চাই। এ সময় ওই সাংবাদিক বলেন, এসব পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো ঠিক দুই মিনিট আগে যেটা বলেছি সেটা। তাতে সব রকম সহিংস ঘটনার যথাযথ তদন্ত হতে হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং পক্ষপাতিত্বহীনভাবে। এসব সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহিতায় আনতে হবে। একপর্যায়ে ওই সাংবাদিক আবার জানতে চান, আমার আরো জানার আছে।

সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর ঢাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সরকারি-বেসরকারি সম্পদের ভয়াবহ ধ্বংসলীলার বিষয় প্রকাশিত হয়েছে। এ রকম একটি ভয়াবহ ক্ষতির বিষয়ে বাংলাদেশকে কোনো সহায়তা দেবে জাতিসংঘ?

জবাবে ডুজাররিক বলেন, সংকটের সময় যেকোনো দেশকে আমরা সবসময় সংলাপে সহায়তা করতে প্রস্তুত। বিশ্বের কোথাও প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময় যেসব মানুষ দুঃখজনকভাবে তাদের সম্পদ হারান অথবা পরিবারের সদস্যদের হারান, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনো স্কিমের সঙ্গে জাতিসংঘ জড়িত নয়। আপনাকে ধন্যবাদ।

একপর্যায়ে অন্য একজন সাংবাদিক জানতে চান, আপনি একটু আগে যে বিবৃতি দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশ ইস্যুতে আমার তিনটি প্রশ্ন আছে। তা খুব দ্রুত হবে। বাংলাদেশে তরুণ নিরপরাধ জনগণের বিরুদ্ধে গুলি করে এবং তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জোরপূর্বক বিবৃতি দেওয়ানোর কূটকৌশল (উইচ হান্ট) চালাচ্ছে আইন প্রয়োগকারী এজেন্সি। এতে তাদের ভূমিকার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের পর্যবেক্ষণ কী?

জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, মুশফিক (মুশফিকুল ফজল আনসারি) আমি পুনরাবৃত্তি করছি। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন বাংলাদেশে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট আছে। এসব রিপোর্টে উদ্বেগ জানিয়েছেন মহাসচিব। এসব নিয়ম লঙ্ঘনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের জবাবদিহিতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আপনার দ্বিতীয় প্রশ্ন কী?

মুশফিক বলেন, এই একই বাহিনী অন্য দেশগুলোতে থাকা জাতিসংঘের পতাকাতলে এসব লোককে নিয়ে তিনি (জাতিসংঘ মহাসচিব) স্বস্তি প্রকাশ করেন? এই প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, এটা পরিষ্কার যে আমরা বাংলাদেশের ওপর এবং বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ওপর নির্ভর করি। তারা মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং এর সম্মানার্থে শান্তিরক্ষী মিশনগুলোতে কাজ করে চলেছেন। আপনার শেষ প্রশ্ন কী?

মুশফিক বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বলেছেন- তার অফিস তাদের (বাংলাদেশের) তদন্তে সহায়তা করতে প্রস্তুত। মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞজন এবং নোবেলবিজয়ীরা পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি জানিয়ে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মহাসচিবকে ব্যবস্থা নিতে কতটা তথ্যপ্রমাণ প্রয়োজন হবে? এ প্রশ্নের জবাবে ডুজাররিক বলেন, ম্যান্ডেন্টের অধীনে সবসময় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ মহাসচিব।

সূত্র : জাতিসংঘ প্রেস রিলিস

আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
DESIGNED BY RIAZUL