দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বৃষ্টি উপক্ষো করে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালন করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। তবে কর্মসূচির আয়োজন থেকে শুরু করে সমাবেশ পরিচালনার গুরু দায়িত্ব পালন করে, নিজের ভাগে প্রশংসার ঝুড়িটা বেশি নিয়েছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
সোমবার নি¤œ চাপ ও বৃষ্টি উপক্ষো করে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে নেতাকর্মীদের ঢল সমাবেশকে আরও সাফল্যমন্ডিত করে তুলেছে।
এদিকে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে যে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে তা অনস্বীর্কায।
এ বিষয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, ঈদের পর স্থানীয় ভাবে দলীয় সমাবেশ আমাদের মাঝে নুতন করে আশার আলো জাগিয়ে তুলেছে। নিজেদের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা প্রতিবাদী কণ্ঠ আবার নুতন করে জাগ্রত হয়ে উঠেছে। এটার জন্য মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হয়।
কারন তার নিরলশ পরিশ্রমের ফসল স্বরুপ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ সফল ভাবে সম্পুর্ন হয়েছে। যেখানে একটি সংগঠন মানে জেলা বা মহানগর কোন কর্মসূচি শহীদ মিনারে পালন করলে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়াতে দেখা যায়। সেখানে জেলা ও মহানগর মিলে যৌথ কর্মূসূচি পালন করার পরেও তেমন কিছু চোখে পরেনি।
অথচ সমাবেশের আগেই স্থানীয় মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দন্দ্ব হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে। কিন্তু এতো সুন্দর সুশৃঙ্খল ভাবে সমাবেশ সফল করার জন্য সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হয়।
সেই সাথে সমাবেশের সভায় আসন গ্রহন করা কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ ধন্যবাদ জানাতে হয়। কারন তারা তাদের বক্তব্যের মাঝেই দেশের আগামীর ভবিষ্যত্ব ও আমাদের করনীয় বিষয় গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আমরা চাই এই ভাবে আগামী দিন গুলোতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রাম সফল ভাবে সম্পুর্ন হবে। দেশের মানুষ আবারো তাদের ভোটাধিকার বাক-স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে।
আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দদের আহবান করবো সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাই যারা অভিমান করে সভা সমাবেশে একত্রিত না হয়ে আলাদা আলাদা ব্যানারে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে। তাদের অভিমান ভাঙ্গানোর দায়িত্ব আপনাদেরই। তাদেরকে নিয়ে আসুন যেভাবে নি¤œ চাপ ও বৃষ্টি উপক্ষো করে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ সফল হয়েছে। অভিমানী নেতাদের নিয়ে এসে প্রতিটি কর্মসূচি আমরা এই ভাবে সফল ভাবে পালন করতে চাই।
তারা আরও বলেন, আর যারা অভিমান করে মূলদ্বারার বাইরে গিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন তাদেরকে আহবান করবো। আপনারাও সব ভুলে গিয়ে দেশনেত্রী আমাদের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সাথে রাজপথে থাকি।
রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা থাকতেই পারে আর এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেটা যেন দলের ক্ষতির কারন না হয়। যারা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত তৃণমূল থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতা পর্যন্ত প্রত্যেকেই দলের গুরুত্বপুর্ন অংশ। দেশ ও দলের জন্য আমাদের সকলকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে থাকতে হবে। আগামীতে আমরা সবাই একই ব্যানারে এক সাথে আন্দোলন সংগ্রামে পথ চলবো এটা আশা করতে পারি। সেই জন্য প্রয়োজন আমাদের সকলের ইচ্ছা শক্তি।