দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও ব্যাপক তান্ডবলীলা চালায় বিএনপি-জামাত জোটের নেতাকর্মীরা। আর নারায়ণগঞ্জে এ আন্দোলনে বিএনপি-জামাত জোটের নৈরাজ্য রুখতে সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশে সর্বদা মাঠে তৎপর ছিলেন ফতুল্লার যুবসমাজের আইডল থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী।
ফতুল্লা থানা যুবলীগের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান,আন্দোলনের শুরু থেকেই সর্বদা তৎপর ছিলেন মীর সোহেল আলী ভাই। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও সহিংসতায় যখন অংশ নেয় বহিরাগত দুর্বৃত্তরা ঠিক সেই সময়ে দলের নিবেদিত কর্মীদের নিয়ে মাঠে তার তৎপরতার কারনে ফতুল্লা অঞ্চলে প্রবেশ করতে সাহস পায়নি দুর্বৃত্তরা। আর তার নির্দেশেই আমরা যুবলীগের সাধারন কর্মীরা সর্বদা তৎপর ছিলাম মাঠে।
স্থানীয়দের মতে,ফতুল্লার পঞ্চবটী এলাকায় অবস্থিত রাষ্ট্রীয় দুটি বড় তেল বিপননকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা এ মেঘনা ডিপোটি তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকার ফলে এখানে কোন প্রকার নাশকতা করার সুযোগ পায়নি দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও পঞ্চবটী এলাকায় বর্তমানে মুক্তারপুর রুটের দ্বিতল সড়ক নির্মানস্থানটিও ছিলো তার সুদৃষ্টিতে। ফতুল্লার পোষ্টঅফিস,শিবু মার্কেট.আলীগঞ্জ ও পাগলাসহ প্রত্যন্ত স্থানে ছিলো মীর সোহেল আলীর ব্যাপক নজরদারী।
বিএনপি-জামাত জোটের সহিংসতার ঘটনার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের দিক-নির্দেশনায় মীর সোহেল আলী ছিলেন ফতুল্লা অঞ্চলে সাধারন মানুষের জানমাল রক্ষার কান্ডারী। তার সাথে থাকা অন্যান্য যুবলীগ নেতাকর্মীরাও ছিলেন অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায়। এছাড়া বিএনপি-জামাত জোটের নেতাকর্মীরা যেন ফতুল্লা এলাকাতে কোন প্রকার নাশকতা কর্মকান্ড না চালাতে পারে সে জন্য মীর সোহেল আলী তার নিজ দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের খাবারের পাশাপাশি থাকারও ব্যবস্থা করেন। প্রায় ৫দিন পর্যন্ত নিজ অর্থ্যায়নে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে সহযোগিতা করেছেন।
সাংসদ শামীম ওসমানের আস্থার কান্ডারী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী বলেন, ফতুল্লা বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা। কোটা নিয়ে ছাত্ররা যখন আন্দোলন করছে ঠিক সে সময়ে বিএনপি-জামাত জোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের নিরীহ জনতার উপর অস্ত্র হাতে ঝাপিয়ে পড়ে। এ সময় বিএনপি-জামাত জোটের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্নিকান্ড ঘটিয়ে দেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। তিনি আরও বলেন,এমপি শামীম ওসমানের নির্দেশে ফতুল্লা থানা যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী নিয়ে আমি ফতুল্লার বিভিন্ন সরকারী- বেসরকারী স্থাপনা ও সাধারন মানুষের জানমাল রক্ষার্থে প্রত্যন্তস্থানে গুরুত্বের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করি আমার কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে।
আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে দক্ষতার সহিত দ্বায়িত্ব পালন করায় এবং সর্বক্ষন সতর্ককতার সহিত মাঠে থাকায় ফতুল্লার কোথাও কোন অগ্নিকান্ড তো দুরের কথা সামান্যতম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন,আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নারায়ণগঞ্জের প্রান পুরুষ সাংসদ শামীম ওসমানের আদর্শের রাজনীতি করি। যে আদর্শ দেশের সাধারন মানুষের কল্যানের। কোটা আন্দোলনে নিরীহ ছাত্রদের নাম ব্যবহার করে যে সকল বিএনপি-জামাতের দোসররা দেশব্যাপী ক্ষতিসাধন করেছে তা অকল্পনীয়। এ ধ্বংসযঞ্জের ঘটনার নিন্দা জানাই পাশাপাশি এ ধ্বংসযঞ্জের মুলহোতা বিএনপি-জামাত জোটের প্রতিটি নেতাকর্মীদেরকে দেশের প্রচলিত আইনে দ্রুত শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।