1. [email protected] : adeleallman4077 :
  2. [email protected] : The Bangla Express : The Bangla Express
  3. [email protected] : chaslegge226479 :
  4. [email protected] : christelgalarza :
  5. [email protected] : ericblackwood3 :
  6. [email protected] : faustochauvel0 :
  7. [email protected] : gabrielewyselask :
  8. [email protected] : giuseppechambers :
  9. [email protected] : Jahiduz zaman shahajada :
  10. [email protected] : justinstella26 :
  11. [email protected] : lillieharpur533 :
  12. [email protected] : mattjeffery331 :
  13. [email protected] : minniewalkley36 :
  14. [email protected] : sheliawaechter2 :
  15. [email protected] : Skriaz30 :
  16. [email protected] : Skriaz30 :
  17. [email protected] : social70a97b1c :
  18. [email protected] : social84c97032 :
  19. [email protected] : user_3042ee :
  20. [email protected] : The Bangla Express : The Bangla Express
  21. [email protected] : willierounds :
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
পদ বঞ্চিত হলেও তারা হয়নি পথভ্রষ্ট ছেলেসহ সাবেক কাউন্সিলর মতি ঢাকায় গ্রেফতার জুলাই অভ্যুত্থানে দেশপ্রেমের কমিটমেন্ট দেখে আমরা অভিভূত: নির্বাচন কমিশনার ট্রাকচাপায় সিদ্ধিরগঞ্জে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ফতুল্লায় পুর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে কুপিয়ে আহত ভিপি রিয়াদের চাচা! গর্ত থেকে বেড়িয়ে নেতা বনে যাওয়া দুই সহোদরের দৃষ্টি এখন জুট সেক্টর! বন্দরে সুরুঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ: উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে ১ সপ্তাহ পার বিএনপির আন্দোলনের  ফসল খাবে রাজনৈতিক কেড়িপোকায় সোনারগাঁয়ে আওয়ামী দোসরদের প্রতিষ্ঠিত করতে কথিত বিএনপিদের অপপ্রচার সোনারগাঁয়ে ছাত্র-জনতার হত্যা মামলার আসামীরা সক্রিয় “নিরব ভূমিকায় প্রশাসন”

ঠিক কোন ‘স্ট্যাটাসে’ এখন ভারতে রয়েছেন শেখ হাসিনা?

দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭৭ Time View

দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বাংলাদেশের সদ্য-প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের একটি বিমান দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে ঠিক পনেরো দিন আগে। সে দিন (৫ অগাস্ট) সন্ধ্যায় ওই বিমানঘাঁটিতে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে স্বাগত জানান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

তার পরদিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেশের পার্লামেন্টে জানান, ভারত সরকারের কাছে শেখ হাসিনা ‘সাময়িকভাবে’ এ দেশে আসার অনুমোদন চেয়েছিলেন এবং তা মঞ্জুর হওয়ার পরই তিনি ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন।

সেই থেকে শেখ হাসিনা এখনও পর্যন্ত ভারতেই রয়েছেন – এবং যতদূর জানা যাচ্ছে দিল্লির উপকণ্ঠে একটি আধাসামরিক বাহিনীর অতিথিনিবাস বা ‘সেফ হাউসে’ই দুই বোনকে একসঙ্গে রাখা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে তাদের ঠিকানা কী, সেটা সরকারিভাবে কখনওই প্রকাশ করা হয়নি।

শেখ হাসিনা ঠিক কোন ‘ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসে’ ভারতে রয়েছেন, সে ব্যাপারেও এখনও পর্যন্ত ভারত সরকার সম্পূর্ণ নীরব রয়েছে।

অর্থাৎ তিনি কোনও বিশেষ ভিসায় ভারতে অবস্থান করছেন, না কি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় (পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম) দেওয়া হয়েছে – এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকার আজ পর্যন্ত একটি শব্দও খরচ করেনি।

এই কারণেই প্রশ্ন উঠছে, ভারতে এই মুহূর্তে তার অবস্থানের ইমিগ্রেশন (অভিবাসন)-গত বৈধতাটা ঠিক কী এবং সেই স্ট্যাটাস কতদিন পর্যন্ত বৈধ থাকতে পারে?

সমঝোতাপত্রের যেখানে বিনা ভিসায় থাকার সুবিধার কথা উল্লেখ করা হয়েছে

দিল্লিতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিবিসি বাংলা এই প্রশ্নের যে জবাব পেয়েছে তা এরকম- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার যে ‘ডিপ্লোম্যাটিক/অফিশিয়াল’ পাসপোর্ট ছিল তা এখনও বৈধ এবং সেই পাসপোর্টের সুবাদে তিনি অন্তত দেড় মাস কোনও ভিসা ছাড়াই অনায়াসে ভারতে অবস্থান করতে পারেন।

ফলে যদি-না এর মধ্যে সেই পাসপোর্ট ‘রিভোকড’ বা প্রত্যাহৃত হয়, তাহলে এই সময়সীমার মধ্যে অন্তত ভারতে তার বর্তমান অবস্থান সম্পূর্ণ আইনসম্মত, ভারতের এ ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রয়োজনও নেই।”

ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, শেখ রেহানার ক্ষেত্রে অবশ্য এই জটিলতাটুকুও নেই, কারণ তিনি ব্রিটেন বা যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারী – ফলে সাধারণ ‘ভিসা অন অ্যারাইভালে’ই (ভারতের মাটিতে পা রাখার পর ব্রিটিশ নাগরিকদের যে ভিসা মঞ্জুর করা হয়) তিনি কার্যত যতদিন খুশি ভারতে থাকতে পারেন।

শেখ হাসিনার ভারতে বর্তমানের অবস্থানের ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত বিষয়টিকেই এই প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

ভারত সরকার যা বলছে

গত ১৬ অগাস্ট (শুক্রবার) বিকেলে দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ঠিক এই বিষয়টি নিয়েই মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে নির্দিষ্ট প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল।

সে দিন তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, “প্রায় দু’সপ্তাহ হল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে অবতরণ করেছেন। আপনি কি আমাদের বলতে পারেন তার এই অবস্থানের (ইমিগ্রেশন-গত) স্ট্যাটাসটা কী … অর্থাৎ তিনি কি নিয়মিত ভিসায় এ দেশে আছেন? না কি তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন? না কি তাকে কোনও ধরনের গৃহবন্দি বা অন্তরীণ অবস্থায় (ডিটেনশনে) রাখা হয়েছে?”

“প্রশ্নটা এই কারণেই করা, যে আমরা নানা ধরনের পরস্পরবিরোধী সংকেত পাচ্ছি। তার কন্যা (সাইমা ওয়াজেদ পুতুল) টুইট করেছেন যে তিনি মা-র সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। আবার এর পাশাপাশি, আমেরিকায় অবস্থানরত তার ছেলের (সজীব ওয়াজেদ জয়) মাধ্যমে শেখ হাসিনা বিবৃতিও জারি করেছেন। ফলে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের প্রকৃত স্ট্যাটাস নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরির অবকাশ হচ্ছে, তার বদলে ভাল হয় যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের জানায় ঠিক কোন শর্তের অধীনে তিনি এ দেশে রয়েছেন।”

যে সাংবাদিক এই প্রশ্নটি করেছিলেন, তিনি শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। মুখপাত্র কিন্তু তার জবাব দেওয়ার সময় প্রথমেই স্পষ্ট করে দেন, তিনি ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’কে নিয়ে কথা বলছেন!

রণধীর জয়সওয়াল তখন বলেন, “আমরা গত সপ্তাহেও এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছিলাম যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভারতে আসার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছিল খুব স্বল্প সময়ের নোটিশে।”

“এই পরিস্থিতি এখনও ক্রমাগত পাল্টাচ্ছে (‘ইভলভিং’)। এই মুহূর্তে অন্তত তার (শেখ হাসিনার) পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের নতুন করে কিছু জানানোর নেই”, বলেন তিনি।

১৬ অগাস্ট মুখপাত্রের এই বক্তব্য ছিল ঠিক তার দশদিন আগে (৬ অগাস্ট) পার্লামেন্টে করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তব্যের হুবুহু প্রতিধ্বনি।

সে দিন মি জয়শঙ্কর সভায় জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা ৫ই অগাস্ট পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর “খুব অল্প সময়ের নোটিশে তখনকার মতো (‘ফর দ্য মোমেন্ট’) ভারতে আসার জন্য অনুমোদন (‘অ্যাপ্রুভাল’) চান। একই সঙ্গে (শেখ হাসিনার বিমানের জন্য) ফ্লাইট ক্লিয়ারেন্সের অনুমতিও চাওয়া হয় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের তরফে।”

বাংলাদেশের পরিস্থিতি বর্ণনা করার জন্য মি জয়শঙ্কর সে দিনও এই ‘ইভলভিং’ বা পরিবর্তনশীল শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।

ভারতের সরকারি অবস্থানে যে মাঝের এই কয়েকদিনে এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি, তা এই ধরনের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট।

জবাব ‘সংশোধিত ট্র্যাভেল অ্যারেঞ্জমেন্টে’?’

সুতরাং এর পরও মূল প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে, তাহলে শেখ হাসিনা ভারতে এই মুহুর্তে ঠিক কীসের ভিত্তিতে আছেন?

দিল্লিতে একাধিক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে আভাস দিয়েছেন, ভারতে শেখ হাসিনার এই মুহুর্তে অবস্থানের ভিত্তিটা হল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘সংশোধিত ট্র্যাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট।মূল সমঝোতাপত্রে দুই দেশের প্রতিনিধিদের স্বাক্ষর দুই দেশের শেখ হাসিনা

আরও সংবাদ
© All rights reserved by The Bangla Experss
DESIGNED BY RIAZUL