দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর হত্যা, গুম, খুন, লুট, ডাকাতি, জমি দখল, চাঁদাবাজী সহ বালু খেকো নেতারা আজ দিশেহারা।
মন্ত্রী,এমপি,সচিব থেকে সর্বস্থরের নেতারা যখন মামলায় গ্রেফতার আতংকে গর্তে লুকানো। ঠিক তখনই থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা নিয়েছে ভিন্ন কৌশল। নিজেদের রামরাজত্ব ও অবৈধ সম্পদ রক্ষার্থে তারা জোড়লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাদের সাথে।
আর গত ১৭ বছর মামলা-হামলার শিকার হয়ে না খেয়ে থাকা বিএনপি নেতারা দল ক্ষমতায় না আসতেই স্বল্প সময়ে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে, ঐসকল আওয়ামী লীগ লুটবাজ নেতাদের দলে ভীরিয়ে নিজেদের সুবিদা নিতে একটুও কারপর্নতা করছেন না। এতে করে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতারা সুবিদাবাদীদের ভীরে পিছনে পড়ে যাচ্ছে। আর এই ঘটনা সারা বাংলাদেশেই চলমান রয়েছে।
তবে ঢাকার পাশ^বর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জে একটু বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিশেষ করে জেলা বিএনপির আওতাধীন সোনারগাঁ উপজেলায় বেশি। কিছু অশিক্ষিত নেতা দেশের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান গুলোর জমির দালালি করে অল্প সময়ে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেন।
তবে এটা অস্বিকার করার কোন অবকাশ নেই তারা বিএনপি করতে গিয়ে হয়েছেন মামলা হামলার শিকার। তবে আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে চলায় তাদের অর্থ-সম্পদের কোন ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তাদের মধ্যে একজন বদলি মান্নান ওরফে লেবু মান্নান যিনি অশিক্ষিত হয়েও কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন শুধু জমির দালালি করে। আর এই বিষয় নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশিত হতে দেখা গেছে বারংবার।
আজ মান্নান সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি সেই সাথে নিজের ছেলেকে অর্থের দাপটে বানিয়েছেন জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক। যদিও স্থানীয় বিএনপি নেতা ও কর্মীরা তাদের নেতৃত্বকে বয়কট করে আলাদা ভাবে রাজনীতি করে যাচ্ছে।
এদিকে বাপ-বেটার রাজনীতি ধরে রাখতেই তারা চিহ্নিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ৫টি হত্যা মামলা ও একাধিক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি জুবে আলম খোকনকে আশ্রয় দিচ্ছেন। শুধু তাই নয় তাকে দলে আনতেই চলতি বছরের ২৬ আগষ্ট সোনারগাঁ অডিটেরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সভায় তাকে নিজেদের কাতারে রাখেন। সেই সাথে জুবে আলম খোকনকে আশ^াস দেন তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হবে না।
এবার জানা যাক কে এই জুবে আলম খোকন, সোনারগাঁ থানাধীন শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রয়াত নাছির ওরফে নাছির মেম্বার। যিনি এক সময় চরকিশোরগঞ্জ এলাকার কথিত গডফাদার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যার নিয়ন্ত্রনে ঐ এলাকায় হত্যা, গুম, খুন, লুট, ডাকাতি, জমি দখল, চাঁদাবাজী সহ বালু খেকো নেতাদের গডফাদার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আর তার এই সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করতো আপন ছোট ভাই জুবে আলম খোকন। নাছির মেম্বারের মৃত্যুর পর সব কিছু নিয়ন্ত্রেনের দায়িত্ব আসে তার উপর।
আওয়ামী ঘরনার হওয়ায় বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিউদ্দিনের আশির্বাদে হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য।
এলাকায় চোর সিন্ডিকেট, বালুমহাল দখল, নৌপথে ডাকাতি ও বেশ কয়েকটি নারী কেলেংকারীর হোতা এই জুবে আলম খোকন। এমন অভিযোগ সোনারগাঁ উপজেলার চর হোগলা এলাকাবাসীর।
আরো জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলায় চর হোগলা গ্রামটি মুন্সিগঞ্জ সদর থানা এলাকার পাশেই। আর এ কারনে মুন্সিগঞ্জ জেলার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাও চর হোগলার বিভিন্ন বিষয়ে মাথা ঘামান। আর এ প্রভাবশালী ব্যাক্তিদেরই একজন মুন্সিগঞ্জ সদর থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন।
অভিযোগ রয়েছে মহিউদ্দিনের শেল্টারে ধলেশ্বরী, মেঘনা ও মোহনপুর চরাঞ্চলে রয়েছে জুবে আলম খোকন বাহিনীর তৎপরতা। অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জন করে ঐ এলাকায় নিজে থাকার জন্য গড়ে তুলেছেন বিশাল অটালিকা। অবৈধ ভাবে অর্থ-উপার্জন করে যে অটালিকাটি গড়ে তুলেছেন সেটা সোনারগাঁয়ে এর রকম আর কারো নেই। শুধু তাই নয় অবৈধ অর্থ দিয়ে চাচা ভাতিজা মিলে ৫টি বাড়ি, ড্রেজার প্রায় ২০টি, বলগেইট প্রায় ১৮টি সহ বিভিন্ন জায়গায় সম্পদের পাহার গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে।
আওয়ামীলীগের পতনের পর নিজের রামরাজত্ব ধরে রাখতেই জুবে আলম খোকন এখন আশ্রয় নিচ্ছেন বিএনপি নেতাদের কাছে।