দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক সাংসদ প্রয়াত নাসিম ওসমানের পুত্র ১৬ মামলার আসামী আজমেরী ওসমানের ডান হাত হিসেবে খ্যাত সিদ্ধিরগঞ্জের আরামবাগ এলাকার মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মের অন্যতম কারিগর কাজি আমির হোসেন @ মাদক স¤্রাট আমিরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাছ বিক্রেতা মিলন হত্যাকান্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ প্রায় ৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয় ১৮ আগষ্ট। ৪ আগষ্ট আজমেরী ওসমানের পাশে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে গুলি করেছে এ আমির হোসেন তার কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে।
স্থানীয়রা জানান,দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর যাবত সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করেছিলো এ মাদক স¤্রাট আমির। বাবা হাবিবুর রহমান হবি একজন সামান্য কলা বিক্রেতা হলেও ছেলে আমির হোসেন আজমেরী ওসমানের পাশে থেকে পুরো নারায়ণগঞ্জেই সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করে বনে গিয়েছেন কয়েক কোটি টাকার মালিক। এছাড়া এনসিসি ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পাশে থেকে এলাকার নিরীহ মানুষের জমি দখলের পাশাপাশি সরকারী জমি দখল করে সেখানে মার্কেট নির্মান করে তা বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। সামান্য একটি পরিবারের সন্তান আমিরের মা চিকিৎসার অভাবে মারা গিয়েছিলেন শুধুমাত্র টাকার অভাবের কারনে।
অথচ ছেলে আমির হোসেন দলীয় কোন পদপদবী না থাকলে নারায়ণগঞ্জের অন্যতম সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমানের আশ্রয়-প্রশ্যয়ে থেকে সাধারন মানুষের ব্যাপক ক্ষতিসাধন ও জিম্মি করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। জমি দখল,মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল করে ৫টি বাড়ির মালিক,৭০ লাখ টাকার গাড়িতে চলাচল ছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকা।
আমিরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়ায় ব্যাপক খুশি হয়েছেন যারা ওর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। তারা চান আমিরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ,ভুমিদস্যুতাসহ যাবতীয় অপকর্মের মাধ্যমে উপার্জিত টাকাগুলো সরকার তার নিজস্ব তহবিলে দিয়ে যাক।
উল্লেখ্য যে,২০২৩ সালে আজমেরী ওসমানের নির্দেশে বন্দরের ফরাজিকান্দা এলাকায় রাইসুল চেয়ারম্যানের জমি দখলের জন্য আমিরের নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক সন্ত্রাসী সেখানে হামলা চালায়। সেখানে আমিরের গুলিতে রাইসুল চেয়ারম্যানের ছেলে আহত হলে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ২১ দিন পর সে ইন্তেকাল করেন।