দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল এনায়েতনগর এলাকায় ব্যবসায়ির দোকানে হামলা ভাংচুর ও ৫ লক্ষ টাকার স্বর্ণলংকার নিয়ে যাওয়া সহ ৩ জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আহতের ছেলে কাওছার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২৮ আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে সাত টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল এনায়েতনগরে হেলাল উদ্দিন (৬০) এর বাড়ির সামনে থাকা স্বর্ণের দোকানে এলাকার যুবদল নামধারী সন্ত্রাসী মঞ্জুর আলম মুসা (৪৮),
জয়নাল মিয়ার ছেলে রুবেল (৩০), ও বাবু (২৭), মন্নাব মিয়ার ছেলে মনির (৩০), অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১২ জন দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়া বে-আইনী ভাবে এসে স্বর্ণের দোকানের ভিতর প্রবেশ করে ভাংচুর চালিয়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। সেই সাথে দোকান থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার স্বর্ণলংকার নিয়ে যায়।
এসময়ে হেলাল উদ্দিন বাঁধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এলোপাথারী চর, থাপ্পর, কিল, ঘুষি ও লাথি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে। পরে হাতে থাকা লাহার রড দিয়ে হেলাল উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী পিটিয়ে বাম পায়ের কমরের নিচে হাড় ভাঙ্গা জখম করে।
হেলাল উদ্দিনের ডাক চিৎকারে তার ছেলে কাওছার (২৮), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শিমা আক্তার (৩৮) ও ডালিয়া আক্তার (৩২) এগিয় আসলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা করে শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে। সেই সাথে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শিমা আক্তার (৩৮) ও ডালিয়া আক্তার (৩২) এর গায়ের পরিদেয় জামা কাপড় টেনে ছিড়ে শ্লীলতাহানী করে।
এসময়ে তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে হামলা কারীরা হেলাল উদ্দিন ও তার ছেলেকে সময় সুযোগমত পেলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হেলাল উদ্দিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় হেলাল উদ্দিনের ছেলে কাওছার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নিজে বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করে।
এ বিষয় হেলাল উদ্দিনের ছেলে কাওছার জানায়, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকে সক্রিয় ভাবে জড়িত। বানবাসী সাধারণ মানুষের সহযোগীতায় আমরা ত্রান তোলার দায়িত্বে আছি। আমাদের এলাকার একটি গামের্ন্টস থেকে সহযোগীতার আশ^াস দেয়। আমরা সেখানে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে চলে আসি।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ আমাদের মোবাইল নাম্বার রেখে দেয় এবং বলে কেউ যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার চাঁদা দাবি করে আপনাদের ফোন দিলে আমাদের সহযোগীতা করবেন। আমরা তাদেরকে আশ^সত করে চলে আসি। আমার ধারনা তারা এই বিষয় টের পেয়ে আর আমার বাবার সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলা করেছে।