দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী নাঈম সহ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা।
মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) বাদ আছর নাসিক ১৭নং ওয়ার্ডস্থ নয়াপাড়া এলাকায় সংগঠনটির সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নিন্দা জানান।
এসময়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহম্মেদ বলেন, নারায়ণগঞ্জের একটি স্থানীয় অনলাইন পোর্টালে আমি সহ আমার সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একটি কুচক্রীমহল মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে অপ-প্রচার চালিয়েছে। যা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এর সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। আমি এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে এই ঘটনার জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও বলেন, জনৈক আমিনুল ইমলাম নিপু প্রকৃতপক্ষে একজন মাদক ব্যবসায়ি ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। বিগত সময় বহুবার মাদকসহ জনতার হাতে আটক হয়ে কারাগারে গিয়েছেন। যা নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা নথীভুক্ত আছে।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় দখল ও স্থাপনা করে চাঁদাবাজী করে আসছে। সে জনৈক এক যুবলীগ নেতার সেল্টারে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী ও নানা অপর্কম করে আসছে।
ঘটনার দিন আমি জানতে পারি কিছু সন্ত্রাসী দোকানপার্ট দখলের হট্রগোল করছে। যেহেতু আমি এই ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তাই খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা যাচাই করি। সেখানে আমাদের দলীয় কোন নেতাকর্মীকে দেখতে পাইনি। পরে আমি ব্যবসায়িদের জিজ্ঞাসা করি এখান থেকে আপনাদের দোকান ভাড়া কে নিচ্ছে।
আজকের পর থেকে আপনারা আর কাউকে কোন ভাড়া বা চাঁদা দিবেন না। কারন আমাদের নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ কোন প্রকার চাঁদাবাজী-দখলদারিত্ব করা যাবে না। যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিবেন। বিষয়টি সমাধান করে আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি।
পরে আমি দেখতে পাই, একটি স্থানীয় অনলাইন র্পোটালে আমাকে ও আমার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার করেছে।
আমি গণমাধ্যমকর্মীদের আহবান করবো আপনারা সমাজের আয়না ও জাতির বিবেক। আপনাদের লিখনির মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা মিডিয়ার মাধ্যমে সকলের কাছে তুলে ধরুন।
যারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে সেই শামিম ও সুজন দুইজনে মিলে এই এলাকার শ্রমিকদের বোকা বানিয়ে বহুদিন যাবৎ মাদক, জুয়াড় বোর্ড এবং অসামাজিক ব্যবসায় জড়িত। এতোদিন তারা ক্ষমতাশীনদের আর্শিবাদপুষ্ট হয়ে অবৈধপন্থা অবলম্বন করে শ্রমিকদের ঘাম ঝড়ানো টাকা আতœসাত করে টাকার মালিক হয়েছে। এ বিষয় শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলেই ষ্ট্যান থেকে বের করে দেওয়ার হুমকী দিতো।
আর ক্ষমতাশীনদের ছত্রছায়ায় থাকায় আমরা প্রতিবাদ করলেই মামলা হামলার ভয় দেখাতো। আজকে তারা নব্যবিএনপি হয়ে পুনরায় তাদের অসামাজিক কার্যকালাপ পরিচালনা করতে চাইছে। সেখানে আমি ও আমার সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাঁধা দেয়ায়, আমাদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
আমি এই বিষয় নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন, গণমাধ্যমকর্মী ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতাদের দৃষ্টি আর্কষন করছি। কারন নিতাইগঞ্জ একটি ব্যবসায়িক জোন যেখানে এদের মত নব্যবিএনপির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও সিনিয়র নেতারা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করে। চাঁদাবাজদের হাত থেকে ব্যবসায়িদেরর ক্ষা করবেন।
এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী নাঈম, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল-আরিফ, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ প্রধান সহ আকতার হোসেন, রিপন রহমান, আলমগীর বেপারী, সাইদুজ্জামান রানা, সেলিম আহম্মেদ জনি, আউয়াল হোসেন, মিঠু সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ।