দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি দিদার খন্দকার বলেন, জাকির খান নারায়ণগঞ্জ জেলার সবচেয়ে সফল ছাত্র নেতা, যার নেতৃত্বে জেলার সবকটি আসনে জয় পেয়েছিলাম। সেই নেতা আজকে কারাবন্দি। আমরা তার মুক্তি কামনা করছি। যে নেতা নারায়ণগঞ্জে একজন বীরপুরুষ। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার আমলে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের পরিবার তাকে ভয় পেতো। অথচ তাকে আজ রাজনীতিক ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
এটা আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না। জাকির ভাইয়ের নির্দেশে আমরা এখনো শান্ত আছি। জাকির খানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ষড়যন্ত্র করে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে শহরের দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাকির খান শুধু নারায়ণগঞ্জে নয়, সারা বাংলাদেশে একটি ব্র্যান্ড। তিনি বিএনপি দলের জন্য বিরাট এক শক্তি। সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দলের হাত আরও শক্তিশালী করতে চাই। আর জাকির খানের নাম ভাঙিয়ে কেউ কোন রকম চাঁদাবাজি করবেন না। যদি কেউ তার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে যায় তাকে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন খান, জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহবায়ক সলিমুল্লাহ সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ আহমেদ, ব্যবসায়ী নাজির আহমেদ, দেওভোগ মাদ্রাসা কাটা কাপড় মার্কেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রহমত উল্লাহ মানিক, কাশিপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার খোকন সরদার সহ প্রমুখ।
দোয়া মাহফিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা সহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খারেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের মুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।