দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ জাতীয় শোক দিবস ও ছুটি বাতিলের পরামর্শ সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ১৫ই অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, ১৫ই অগাস্ট জমায়েত হলে শেখ হাসিনার দলকে প্রতিহত করবে অভ্যুত্থানকারীরা। আলাদা বৈঠক থেকে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছে দলগুলো। উপদেষ্টাদের কথা কম বলে দ্রুততম সময়ে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ সম্পন্নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকাল ৪টায় ড. ইউনূস বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করেন। এরপর একে একে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথেও বৈঠক করেন।
১৫ই আগস্টের বিষয়ে দলগুলোর মতামত জানতে চাইলে একমাত্র বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ১৫ই অগাস্ট পালনের পক্ষে মত দেন। তিনি বলেছেন, ১৫ অগাস্ট সর্বজনীন। যতটুকু শ্রদ্ধা পাওয়া উচিত, ততটুকু শ্রদ্ধাই যেন পায়।
সমকাল পত্রিকা
আ’লীগ নিয়ে উপদেষ্টার বক্তব্যের পর হুঁশিয়ারি ছাত্র আন্দোলনের এটি সংবাদ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের আহ্বান জানানোর পর তাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
সোমবার, ১২ই অগাস্ট বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “যারা স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করতে চায়, খুনি হাসিনাকে পুনর্বাসনের মতো বক্তব্য দিতে চায়, আমরা ছাত্র-জনতা যেভাবে তাদেরকে উপদেষ্টা বানিয়েছি, ঠিক একইভাবে গদি থেকে ছুড়ে নামাতে দ্বিধা করব না।”
এর আগে সোমবার সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মি. হোসেন বলেছেন যে দেশে আওয়ামী লীগের অনেক অবদান আছে। “এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না।”
তিনি দলকে “রিঅর্গানাইজ (পুনর্গঠন)” করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
‘ব্যক্তিগত স্বার্থে’ এত বড় একটা দলকে ‘নষ্ট’ না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা (আওয়ামী লীগ) আমাদের গর্ব। এটা নষ্ট করার কোনো অধিকার নেই।”
সংবাদ পত্রিকা
সরকারকে ‘যৌক্তিক’ সময় দেবে বিএনপি দৈনিক প্রথম আলো’র এই প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল সোমবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বিএনপি নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চেয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্য দলগুলোরও সরকারকে সময় দিতে আপত্তি নেই বলে জানা গেছে। তবে দলগুলোর নেতারা বলেছেন, অন্তবর্তী সরকারের সঙ্গে তাদের বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা হয়নি। ছাত্রদের আন্দোলনের সময় হত্যাকান্ডগুলোর বিচার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং ভেঙে পড়া পুলিশ ও বেসামরিক প্রশাসনে সংস্কারের বিষয়ে মূলত তারা আলোচনা করেছেন।
আর এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সময় প্রয়োজন। দলগুলো তা বিবেচনায় নিচ্ছে। তবে কত দিন সময় দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলছে না কেউ।
বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা বলিনি। আগেও বলেছি, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে কিছু সময় লাগবে। আমরা তাদের অবশ্যই সেই সময় দিচ্ছি। আমরা তাদের সব বিষয়কে সমর্থন দিচ্ছি।”
নিউ এজ পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম।
এতে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের হত্যা করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
গতকাল সোমবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার মামলা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সমাবেশে তারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিও জানান।
৬ মাসের মধ্যে পুলিশে সংস্কার দেশ রূপান্তর পত্রিকার এই প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুলিশে আমূল পরিবর্তন আসছে।
সম্প্রতি আন্দোলন ঘিরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শিক্ষার্থী ও নিরপরাধ লোকজনের মৃত্যু এবং পাল্টা হামলার শিকার হওয়া এক নজিরবিহীন ঘটনা। অভিযোগ ওঠে, পুলিশ রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলেছে। এসব ঘটনায় একদিকে পুলিশের মনোবলে প্রভাব পড়ে, অন্যদিকে বাহিনীতে অস্থিরতা তৈরি হয়।
এ অবস্থায় ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’ হিসেবে পুলিশের ভাবমূর্তি ফেরাতে বাহিনীতে সংস্কার আসছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজনীতির বেড়াজাল থেকে বাহিনীটিকে বের করে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশের পোশাক ও মনোগ্রাম পরিবর্তন করা হবে। এখন মনোগ্রামে ‘নৌকা প্রতীক’ রয়েছে।
দেশ রূপান্তর পত্রিকা
পলাতক স্বৈরশাসকরা কেউই রাজনীতিতে ফিরতে পারেননি এটি বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। এতে বিগত কয়েক দশকের আলোচিত নেতাদের প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত পালিয়ে যাওয়া বিশ্বের কোনও স্বৈরশাসকই শেষ পর্যন্ত আর দেশে বা রাজনীতিতে ফিরতে পারেননি।
১৯৮৬ সালে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট মার্কোস গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু তিন বছরের মাথায় ক্ষমতার শোকে বিপর্যস্ত মার্কোসের নির্বাসনেই মৃত্যু ঘটে।
এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা দখল করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। কিন্তু ২০০৮ সালে গণরোষের মুখে পড়ে পদত্যাগ করে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে গিয়ে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন তিনি।
এরপর অনেক চেষ্টা করেও দেশে বা রাজনীতিতে ফিরতে পারেননি তিনি। এদেশ-ওদেশ ঘুরতে ঘুরতে শেষ পর্যন্ত গত বছর দুবাইয়ের এক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
বলিভিয়ার ইভো মোরালেস, চিলির অগাস্তো পিনোশেকে, শ্রীলঙ্কার মাহিন্দা রাজাপাকসে, তিউনিসিয়ার জাইন এল-আবিদিন বেন আলি, আফগানিস্তানের আশরাফ গানির কথাও আলোচনা করা হয়েছে এখানে। এরা তাদের শাসনামলে স্বৈরশাসক তকমা পেয়েছিলেন।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশত্যাগকারীদের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বণিক বার্তা
১৫ বছরে ব্যাংক খাতে ৯২ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার এই শিরোনামে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাতে ২৪টি বড় ধরনের কেলেঙ্কারি হয়েছে।
এতে অর্থ লোপাট হয়েছে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১২ শতাংশ। এ ছাড়া ঋণ খেলাপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সিপিডি কার্যালয়ে ‘ব্যাংকিং খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, পুরো ব্যাংক খাত চলে গেছে নিয়মনীতির বাইরে। এত দিন বিশেষ ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর প্রসারে কাজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।’
দৈনিক আজকের পত্রিকা
আমানত নিয়ে শঙ্কায় গ্রাহক এটি কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, সংকটে থাকা দেশের ব্যাংক খাতে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
সরকার পতনের পর এই খাতে ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়ে গোলাগুলিতে গড়িয়েছে। এমন অস্থিরতায় উদ্বিগ্ন আমানতকারীরা।
শেষে কী হয় না হয় এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকে অনেক সঞ্চয়কারী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। এর মধ্যে এটিএম বুথগুলোতে নগদ টাকার সংকট ও ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকার বেশি না তোলার বাধ্যবাধকতা লেনদেনে গ্রাহক ও আমানতকারীদের আরো অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞরা যদিও বিদ্যমান সংকট দ্রুত কেটে যাবে বলে ভরসা দিচ্ছেন। কিন্তু পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে সংকট বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
কালের কণ্ঠ পত্রিকা
প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা ওয়াসার ঘাড়ে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, বিদেশি ঋণের ভারে ডুবতে বসেছে ওয়াসা।
ওয়াসার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিভিন্ন প্রকল্পে সংস্থাটির ঋণের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। সরকার পতনের পর ইতোমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।
পানির স্তর নেমে যাচ্ছে, তাই ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনার অজুহাতে বৈদেশিক ঋণের সহায়তায় বড় বড় কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেন তিনি। অথচ ২০০৯ সালে যখন দায়িত্ব নেন, তখন গভীর নলকূপের সংখ্যা ছিল সাড়ে ৪০০, বর্তমানে সেই গভীর নলকূপের সংখ্যা সাড়ে ৯০০। অর্থাৎ ভূগর্ভস্থ পানির উৎস আরও বেড়েছে।
দৈনিক ইত্তেফাক
ঢামেকের মর্গে এখনো ১৯ লাশ মানবজমিন পত্রিকার প্রথম পাতার খবর এটি। এখানে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় হতাহতের বড় অংশই এসেছে ঢাকা মেডিকেলে। এখান থেকে প্রায় একশ’ মানুষের লাশ হস্তান্তরর করা হয়েছে। অনেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিয়ে গেছেন।
আঞ্জুমানের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। এখনো হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে ১৯ জনের লাশ। তাদের বয়স আনুমানিক ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। অজ্ঞাত হিসাবেই তাদেরকে মর্গে রাখা হয়েছে।
কারণ তাদের পরিচয়ও মিলছে না বা স্বজন পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে মর্গে আসেন। কিন্তু মর্গে রাখা মরদেহগুলোর শারীরিক অবস্থা দেখে শনাক্ত করা বা চেনার কোনও উপায় নাই।