দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ শহরে ও সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রার্থনা ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর শহরের ডিআইটি মসজিদ এলাকায় আন্দোলনে নিহতদের ও আহতদের জন্য দোয়া ও দোয়া শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুপুর আড়াইটা হতে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
শহরে মিছিলে অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি তোলারাম কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালন করতে এবং আমাদের আন্দোলন চলাকালীন হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিলে অংশ নিয়েছে। যত শিক্ষার্থীদের সরকার গ্রেপ্তার করেছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি গণহারে দেশব্যাপী দায়ের করা শত শত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
অপরদিকে, মহাসড়কে ১৮-২০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন লিখুনির প্লেকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা নারায়ণগঞ্জ পলি-টেকনিক্যাল ও নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী। নিজেদের দাবি আদায় না মানা পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বলেও ঘোষণা দেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নাজমুল বক্তব্যকালে শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, জনাব শিক্ষামন্ত্রী আমাদের জানতে ইচ্ছে হয়, এইচএসসির রুটিন তো প্রকাশ করলেন এখন পরীক্ষা কি থানায় হবে নাকি কোর্টে? আর যদি পরীক্ষা হলে হয় তাহলে যাদেরকে জেলে পাঠানো হলো তারা কি পরীক্ষা কোটায় দিবে?
উর্মি নামের আরেক শিক্ষার্থী বলে, আমরা যৌক্তিক দাবির জন্যে মাঠে নেমেছি। আমাদের সহপাঠীদের রক্ত ঝরেছে আমরা তার বিচার চাই।
এদিকে আন্দোলনকে ঘিরে জনসাধারণের ভোগান্তি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে, সড়কে কেনো যানযট কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে দেখা যায়নি।
ঘটনাস্থলে থাকা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেছেন, অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী শান্তিপ্রিয়ভাবে সড়কে অবস্থান করেছিল। পরবর্তী তারা কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে আবার ফিরে চলে গেছে। সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।