দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর হাজি ফুল মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলতাফের বিরুদ্ধে অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
১৯ আগস্ট (রবিবার) সকালের দিকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকসহ স্থানীয়রা ওই শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে সমাবেশ করে।
লক্ষ্মীপুর হাজী ফুলমাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিইও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার রহমান সাঈদ ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জামালপুর জেলা ইসলামপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর হাজী ফুল মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তি সেশন চার্জ, এসএসসির রেজিষ্ট্রেশন ফি, উপবৃত্তির টাকা, টিউশন ফি, জেএসসি ও এসএসসির প্রশংসা পত্র-মূল সনদ আদায় ফি, এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ফি, বিভিন্ন পরীক্ষার ফি, প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ও রিজার্ভ ফান্ডের মোটা অংকের অর্থ প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক আলতাফ উদ্দিন হাতিয়ে নেন ।
নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন, মাহবুবুর রহমান, দিলরুবা সহ নৈশপ্রহরি হযরত আলী জানান, আমরা গত চার মাস থেকে নিয়মিত ভাবে ক্লাস করে আসছি, আলতাফ উদ্দিন স্যার আমাদের বেতন আটকিয়ে রেখেছেন। বর্তমানে আমরা পারিবারিকভাবে অর্থনৈতিক নাজুক পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করছি। ।
ওই স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার কালবেলা কে বলেন, প্রধান শিক্ষক আলতাফ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে শুধু আর্থিক কেলেঙ্কারি নয় নারি কেলেঙ্কারির ঘটনাও রয়েছে। আমরা তার অপসারণ চাই।
এছাড়াও প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন এক চাকরি প্রত্যাশীর কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিলেও তাকে চাকরি দেয়নি। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তে গোপনে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে। আর গোপনে নিয়োগ দেয়া চতুর্থ শ্রণির কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না হলেও রীতিমতো উত্তোলন করছে সকল বিল-বেতন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আলতাফ উদ্দিনের সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিরাজুল ইসলাম কালবেলা কে জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ দিয়ে থাকলে তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।