1. [email protected] : The Bangla Express : The Bangla Express
  2. [email protected] : chaslegge226479 :
  3. [email protected] : christelgalarza :
  4. [email protected] : faustochauvel0 :
  5. [email protected] : gabrielewyselask :
  6. [email protected] : Jahiduz zaman shahajada :
  7. [email protected] : lillieharpur533 :
  8. [email protected] : minniewalkley36 :
  9. [email protected] : sheliawaechter2 :
  10. [email protected] : Skriaz30 :
  11. [email protected] : Skriaz30 :
  12. [email protected] : The Bangla Express : The Bangla Express
  13. [email protected] : willierounds :
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
কাশিপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা-আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি “বাদীই জানে না সে মামলার বাদী” নেওয়া হয়েছে সাদা কাগজে স্বাক্ষর! আতঙ্কে বাদী পরিবার শাহেন শাহ নেতৃত্বে প্রকাশ্যে হত্যা মামলার আসামি পিংকি! কাউন্সিলর আশা’র নির্দেশে বন্দরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতা মান্নানের পিছনে আওয়ামীলীগ নেতাদের সয়লব শামীম ওসমান কাপুরুষ ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অন্যতম দোসরঃ গিয়াসউদ্দিন আম্মাজানের পর এবার সমন্বয়ক পরিচয়ে ভয় দেখাচ্ছে ধর্ষক রিফাত! যেসব অপকর্মের হোতা ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি! গণঅভ্যুত্থান থেকে বিএনপি যেভাবে বারবার লাভবান হয়েছে আজহার কমিশনারের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী দিপালী রানীর সংবাদ সম্মেলন

সাবেক বিচারপতি মানিক যেভাবে আটক হলেন, তাকে নিয়ে এতো বিতর্ক কেন?

দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস
  • Update Time : শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৭ Time View
bicharpotyXmanik

দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শাসসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ভারতে পালিয়ে যাবার সময় শুক্রবার রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি’র হাতে আটক হয়েছেন।

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করার বিষয়টি বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।

আটক করার পর তাকে বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রেখে কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। পরবর্তীতে তাকে রাত ১২টা নাগাদ ক্যাম্প থেকে থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

সাবেক বিচারপতি মানিককে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঘটনাস্থলের কাছাকাছি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দিন।

নাজিম উদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, গতরাতে (শুক্রবার) এক ব্যক্তি তাকে টেলিফোন করে জানান যে অপরিচিত একজন লোক বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যাচ্ছে। তখন বিষয়টি স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।

বিজিবি’র জিজ্ঞাসাবাদে কী ছিল?

নাজিম উদ্দিন এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের বর্ণনা অনুযায়ী, বিচারপতি মানিক যে স্থান থেকে আটক হয়েছিলেন, ওই জায়গাটায় পাহাড়ি জঙ্গল আছে। ভারতীয় সীমান্তে খাসিয়াদের গ্রাম।

স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে আধা কিলোমিটারের মতো এলাকায় জঙ্গল রয়েছে। খাসিয়াদের গ্রাম পার হলেই বড় সড়কের দেখা মেলে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি মি. মানিককে দেখেন। তখন তিনি কলাপাতার ওপর শুয়ে ছিলেন। কিন্তু স্থানীয়রা মি. মানিকের পরিচয় সম্পর্কে জানতেন না। তারা বুঝতে পারেন এই ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দা নয় এবং তিনি অবৈধভাবে ভারতে যাবার জন্য অপেক্ষা করছেন।

একজন ব্যক্তির পালানোর খবরে বিজিবি সদস্যরা ঘটনা স্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তিনি কলা পাতার ওপরে শুয়ে আছেন।

এরপর তাকে ধরে কিছু প্রশ্ন করেন বিজিবি সদস্যরা। সেইসব জিজ্ঞাসাবাদের কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে।

বিবিসি ওই ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করে দেখেছে যে সেগুলো শুক্রবার রাতেরই। ভিডিওতে দেখা যায়, একজন বিজিবি সদস্য তাকে জিজ্ঞেস করছে, “আপনার বাড়ি কোথায়?”

উত্তরে তিনি বলেন যে মুন্সিগঞ্জ। এরপর নাম জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমার নাম বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক।”

তখনই ওই বিজিবি সদস্যকে বিদ্রুপ করে বলতে শোনা যায়, “বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক? ওই মানিককা… যে কয়দিন আগে চ্যানেল আইতে এক উপস্থাপককে…ই…করছো…”

তখন মি. মানিক নিজেই বলেন সেই উপস্থাপকের কাছে তিনি পরে “ক্ষমা” চেয়েছেন। এরপর এক পর্যায়ে তিনি তার বাবার নাম বলেন- মরহুম আব্দুল হাকিম চৌধুরী।

তার কাছে তখন জানতে চাওয়া হয় যে তিনি কেন ভারতে পালাচ্ছেন? তার উত্তরে তিনি বলেন, “ভয়ে পালাইতেছি…প্রশাসনের ভয়ে।”

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায় যে তিনি ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। পালানোর সময় তার সাথে ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলাদেশি পাসপোর্ট, টাকা, কিছু ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ছিল। কিন্তু যাদের সহায়তায় তিনি পালাচ্ছিলেন, তারা তার কাছে থাকা ৬০-৭০ লাখ টাকা নিয়ে নিয়েছে এবং তাকে তারা “সীমান্তের ওপারে নিয়ে মেরেছে” বলেও জানান তিনি।

তিনি কি সীমান্ত পার হয়েছিলেন?

সাবেক বিচারপতি মানিকককে যখন আটক করা হয়, তখন তিনি বাংলাদেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তাকে বলতেও শোনা গেছে যে তিনি বাংলাদেশে আসবেন না। মি. মানিক মনে করেছিলেন যে তিনি ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু তিনি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সীমান্তে শুয়ে আছেন।

এ ব্যাপারটি বিবিসি বাংলাকে ব্যাখ্যা করেন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দিন।

তিনি জানান, সীমান্ত পার করানোর জন্য মি. মানিককে ওই এলাকার মিকিরপাড়া সড়ক দিয়ে নেয়া হয়েছে। “এটা পাহাড়ি এলাকা, এখানে রাস্তাঘাট নাই, যানবাহন চলাচলের সুযোগ নাই। মাঝেমাঝে শুধু মোটর সাইকেলে করে যাওয়া যায়। তবে তাকে হেঁটে যেতে হয়েছিলো।”

ওই ডনা ক্যাম্পসের পাশেই একটি বাজার আছে। সেই বাজারের “পশ্চিম পাশ থেকে পায়ে হাঁটা রাস্তা দিয়ে ওনাকে নিয়ে গেছে, দূরত্ব এক কিলোমিটার হবে,” যোগ করেন মি. উদ্দিন।

ওনাকে হেঁটে যেতে হয়েছে, তাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো…ওখানে ভারতের পিলার আছে। ভারতের সেই পিলারের পশে নিয়ে ওরা তাকে বলছে, আপনি ভারতে চলে আসছেন। এটা শুনে উনি রেস্ট নিতে চাইলে ওরা তাকে কলাপাতা দিয়ে দিছে। মূলত, উনি বাংলাদেশের মাঝের জায়গায় বিশ্রাম নিচ্ছিলো।”

পরে স্থানীয় কিছু লোকজন যখন সংবাদ পাইছে, তাদেরকে উনি বলছেন– আমি ভারতে চলে আসছি। বাংলাদেশে যাবো না,” যোগ করেন ওই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য।

মি. মানিক বলছিলেন, তিনি যাদের সাথে গিয়েছেন, তারা তাকে মারধর করেছেন এবং তার সব টাকা-পয়সা নিয়েছেন। কিন্তু ওদের কারো ফোন নম্বর তার কাছে ছিল না। তাদের নামও বলতে পারেননি।

এ প্রসঙ্গে মি. উদ্দিনের ভাষ্য, “মূলত, যারা নিয়ে গেছে, তারা ওনার সামনে বসে একজন আরেকজনকে ভিন্ন নামে ডাকাডাকি করছিলো। তাই নাম মিলছে না।”

মানিককে নিয়ে যত বিতর্ক

ছাত্র বিক্ষোভের সময় বেসকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই-এর একটি টকশো গিয়ে এক নারী উপস্থাপকের সাথে আক্রমনাত্মক আচরণ করে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন মি. মানিক। সেটি ভিডিও ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ছড়িয়ে পড়ে।

মি. মানিকের বিরুদ্ধে সরকারি বাড়িভাড়া পরিশোধ না করাযর বিষয়ে অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

নোটিশে বলা হয়, অবসরে যাওয়ার পর এক বছরের বেশি সময় রাজধানীর গুলশানে একটি সরকারি বাড়ি দখলে রেখেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। পরে ২০১৭ সালে তিনি বাড়িটি ছাড়লেও বাড়িভাড়া, গ্যাস ও পানি বিল বাবদ সরকারের পাওনা ১৪ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা এখনও পরিশোধ করেননি তিনি।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল করা হয়। তিনি শেখ মুজিব হত্যা মামলার আইনজীবীও ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় তাকে হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সে নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে শাসসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বিচারপতি হিসেবে পুনর্বহাল হন।

বিচারপতি থাকা অবস্থায় শাসসুদ্দিন মানিককে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। যে রায়টি কেন্দ্র করে মি. মানিক সমালোচনার কেন্দ্রে আসেন সেটি হচ্ছে, কর্নেল তাহের হত্যা মামলার রায়।

সে রায়ে মি. মানিক কর্নেল তাহেরের বিচারকে ‘ঠান্ডা মাথার খুন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জিয়াউর রহমানকে ‘ঠান্ডা মাথার খুনি’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

২০১৫ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি থাকা অবস্থায় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সাথে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মি. সিনহা শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে একটি বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন।

এরপর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার অভিশংসন চেয়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠিও দিয়েছিলেন। অবসরে যাবার কয়েকদিন আগে তিনি একাজ করেছিলেন।

আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
DESIGNED BY RIAZUL