দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফতুল্লা থানা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় শামীম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে কায়েমপুর, হাজীগঞ্জ, নয়ামাটি, শিবু মার্কেট এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম চালিয়েছে।
তাদের অপকর্মের শেষ নেই, ঐসব এলাকার মানুষ তাদের যন্ত্রণায় ছিলো অতিষ্ঠ। শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরাই নয় তাদের অত্যাচারের শিকার দলীয় নেতাকর্মীরাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র এলাকার কয়েকজন বাসীন্দার সাথে কথা বলে জানা যায়, মোক্তার ও মনির তারা দুইজনই ছিল নিম্নবিত্ত পরিবারের এবং তারা দুজনেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। যুবলীগের পদ পদবী পাওয়ার পর তারা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যায়।
যুবলীগ করার পূর্বে মনির ভাঙ্গারি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলো আর মোক্তার করতো সুদের ব্যবসা। এখন তারা কোটি কোটি টাকার মালিক। জমি দখল, বিভিন্ন গার্মেন্টস ও ডাইং থেকে চাঁদাবাজি, বিচারের নামে মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ফুটপাত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করেছে তারা।
এসব কুলাঙ্গাররা এখন বিএনপির আশ্রয় প্রশ্রয়ে আবারো বিভিন্ন এলাকায় উৎপাত করছে। এখনো পর্যন্ত তাদের নামে কোন মামলাও হয়নি।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন, আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এখনো এলাকায় বিএনপির নাম বিক্রি করে আগের মত তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। এরা যুবলীগের ভাইটাল পোস্টে থাকার পরও তাদের নামে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি।
শামীম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে এত অপকর্ম করার পরও তারা আবার বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাম রাজত্ব করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।