দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ চলতি বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা নিজেকে রক্ষার্থে নব্য বিএনপির লেবাস পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তাদেরকে দলে ভীড়তে সহযোগীতা করছেন আওয়ামী ঘেঁষা বিএনপির অনেক নেতা। শুধু তাই নয় নব্য বিএনপির নেতাদের প্রতিষ্ঠিত করতেই ব্যবহার করা হচ্ছে নানা কৌশল।
অথচ বারংবার বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মীদের দলে জায়গা না দেয়ার জন্য আহবান করেন। পাশাপাশি এই নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের ঘোষনা দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এবিষয়ে বন্দর থানা ও ইউনিয়ন বিএনপির অনেক নেতাই অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ বেশ কয়েক জায়গায় লুটপাট চালিয়েছে। এই লুটপাটের মধ্যে অন্যতম কর্ণফুলি ডকইয়ার্ড এছাড়াও বিভিন্ন তৈলের পাম্পও তার লুটের অভিযোগ রয়েছে।
তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, শুধু তাই নয় আওয়ামী লুটেরা সন্ত্রাসীদের বিএনপিতে প্রতিষ্ঠিত করতেই শাহেন শাহ নানা কৌশল অবলম্বন করছে। চলতি মাসের ২৭ সেপ্টম্বর বন্দর উপজেলার বুরুন্দী ৭নং ওয়ার্ডে বিএনপির কার্যালয় উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া হিরন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ লিটন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল সহ অনেকেই।
যেখানে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনার ব্যানার দেখা যায়। সেই ব্যানারেই সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রথম নাম দেখা গেছে মহসিন প্রধান। যিনি স্বৈরাচারী সরকারের শাসন আমলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন। সেই সাথে জাতীয়পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানের নির্বাচনী প্রচারোনায় সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেছেন।
এদিকে, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ তার নেতাকর্মী নিয়ে সেলিম ওসমানের সমাবেশে যোগদান করে নৌকা হাতে বিএনপি পাড়ায় বেশ সমালোচনার শিকার হয়েছেন। এর কিছু দিন পরই ওসমান পরিবারের আর্শিবাদে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। সেই সাথে অর্থের দাপটে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও বন্দর থানা বিএনপির সভাপতির পদটি ভাগিয়ে আনতে সক্ষম হন। এর পর থেকে শুরু হয় তার নানা চালবাজী।
এরই ধারাবাহিকতায় শাহেন শাহ তার আওয়ামী উত্তসূরিদের বিএনপিতে আনতে নানা কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন বলে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা দাবি করেন। ২৭ সেপ্টম্বর বন্দর উপজেলার বুরুন্দী ৭নং ওয়ার্ডে বিএনপির কার্যালয় উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নেতা মহসিন প্রধানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহেন শাহ উপস্থিত হয়ে, তার রাজনৈতিক ষোলকলার কিছুটা পূরন করেছেন।
বিএনপি নেতারা আরও জানান, মহসিন প্রধান কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সমর্থক জাহের প্রধানের ছেলে। সে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের একজন একনিষ্ঠ নেতা হিসেবে স্থানীয় ভাবে বেশ পরিচিত।
শাহেন শাহ চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার বন্দর থানা যুবদল নেতা আহম্মেদ আলী বলেন, তাকে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে বিএনপির কার্যালয় উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান। তিনি কার্যালয় উদ্ভোধন করে চলে আসেন। যদি ব্যানারে কোন আওয়ামীলীগ নেতার নাম থাকে তাহলে সেটা বন্দর উপজেলা বিএনপির নেতাদের দোষ। এখানে শাহেন শাহ ভাইয়ের কোন দোষ নেই। তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।