দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৭৮ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জে কোন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। মামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছে। ফলে দলটির প্রধানের জন্মদিন পালন করতে দেখা যায়নি। তাছাড়া শেখ হাসিনার কর্মসূচি পালন করতে গেলে উল্টো তোপের মুখে পড়ে লাঞ্ছিত হওয়ার শঙ্কা থেকে অনেকে কর্মসূচি পালনে এগিয়ে আসেনি।
এর আগে, গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর কয়েকটি মামলার আসামী হতে হয়েছে সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেত্রী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে। অনুগামীরাও মনে করেন শুধুমাত্র সে কারণেই তাকে মামলার আসামী হতে হয়। এ কারণে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনে দলের নির্দেশনা থাকলেও নারায়ণগঞ্জের কেউ আগ্রহী হয়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা মামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে আত্মগোপনে রয়েছে। আর দলের কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করলেও নেতৃত্বহীনতায় নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন। এরপরে আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করা হয়। সেই মামলায় অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছেন। আবার অনেকে আত্মগোপনে রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের কোনো পর্যাযের নেতাকর্মীদের দেখা মিলছে না।
এরই মধ্যে গত ১৫ আগস্ট ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুাবার্ষিকী। যাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হিসেবে মেনে থাকেন। যার আদর্শে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী লালিত পালিত হয়ে থাকেন। কিন্তু এবারের মৃত্যুবার্ষিকীতে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একেবারেই নিরব ভূমিকায় ছিলেন।
তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের একটি অংশের নেতাকর্মীরা। ১৫ আগস্ট সকালে শহরের দুই নং রেলগেইট এলাকার আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এই শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করেন। কিন্তু তাদের কর্মসূচি ছিলো একেবারে সংক্ষিপ্ত। ভয়ের মধ্য দিয়ে খুবই দ্রুত কর্মসূচি পালন করে সাথে সাথে সটকে পড়েন।