দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের বিলুপ্ত পৌরসভার সাবেক কমিশনার আজহারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ২য় স্ত্রী দিপালী রানী দাস।
শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় পঞ্চবটীস্থ ফোকাস নিউজ এজেন্সী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আজহার কমিশনারের ২য় স্ত্রীর একমাত্র কন্যা স্মৃতি রানী।
লিখিত বক্তব্যে: আমি দিপালী রানী দাস। স্বামী আজাহার কমিশনার। গত ৩৫ বছর পূর্বে তাহার সাথে আমার বিয়ে হয়। এর আগে তিনি মমতাজ বেগম নামে আরেক মহিলাকে বিয়ে করেন। আমার সাথে পূর্বে শংকর নামের একজনের সাথে বিয়ে হয়েছিল। টানবাজারে রেলী বাগানে আমাদের বাড়ি থাকার সুবাদে আজাহার কমিশনারের সাথে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে আজাহার সাহেব আমাকে ভুল বুঝিয়ে বিয়ে করেন এবং আমাদের সংসারে ১টি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। এদিকে তাহার প্রথম স্ত্রী মমতাজ বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
১৯৯৭ইং সালে টান বাজারে মান্নান মিয়ার বাড়িতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে পুনরায় দেহ ব্যবসা জড়িয়ে পড়লে, সেখানে থাকাবস্থায় দুলাল নামের এক সবজি বিক্রেতার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আর এ পতিতালয় থেকে আজাহার কমিশনারের সাথে মমতাজের পরিচয়ের সূত্র বিয়ে করে সাংসারিক জীবন শুরু করেন। সেখানে থাকাবস্থায় মমতাজ একটি কন্যা সন্তান দেন। যার নাম রাখা হয় আজমেরী জোহরা ইভা। তার মেয়ে ইভার দুটি বিয়ে হয়।
১ম স্বামীর নাম মোহাম্মদ (আলী রেস্তারো মালিকের ছোট ভাই)। আশ মোহাম্মদ। তার ছেলে ওয়াজ করনি। এই ওয়াজ করনির বিরুদ্ধে রয়েছে উকিল পাড়া রেল লাইন এ দাড়িয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজির মতো বহু অপকর্মের অভিযোগ, তারি অপন বড় ভাই মোশারফ। হোসেন পাভেল। তার বিরুদ্ধে রয়েছে আপন বড় ভাইয়ের বউকে ধর্ষণের অভিযোগ ও বিভিন্ন অপকর্ম। আজাহার কমিশনারের একমাত্র মেয়ে ইভার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অপকর্মের অভিযোগ।
আজাহার কমিশনারের বাড়ির কাজের ছেলে মিলন এর সাথে পরকিয়ার টানে বাড়ি ছেড়ে তার সাথে চলে যায়। বর্তমানে তাদের দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ফাতেমা (১৮) ও কুলসুম (১৬)। ফাতেমা নতুন পালপাড়া এলাকার হিন্ধু ধর্মের ছেলে সৌরভ এর সাথে পালিয়ে বিয়ে তাদের বিয়ে হয়। বর্তমানে সে তিন মাসের অন্তস্বত্ত্বা। তারই আপন ছোট বোন কুলসুম দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত। দির্ঘদিন যাবৎ তাদের নেতৃত্বে (ইভা ও মমতাজ বেগম) তারা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
আমি বর্তমানে আজাহার কমিশনারের বাসাতেই উকিল পাড়া রেললাইল এলাকায় রয়েছি। তিনি আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে চায় না এবং আমার কন্যারও স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছে না। আমার মেয়েটি বর্তমানে বিবাহ যোগ্য। আমি স্ত্রী মর্যাদা ও কন্যা সন্তানের স্বীকৃতির জন্য আজাহার কমিশনারের প্রতি দাবী জানাচ্ছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিপালী রানী দাস বলেন,৩৫ বছর পুর্বে একজন হুজুরের মাধ্যমে সে আমাকে বিয়ে করেন। কিন্তু কোন কাবিনের কাগজ আমাকে দেয়নি। এ বিষয়ে আমি জোড় করলে সে আমাকে মারধর করে মাথায় আঘাত করেন এবং আমার মাথায় ৫টি সেলাইয়ের চিহৃ রয়েছে। তার ৯টি বাড়ি রয়েছে কিন্তু তার স্ত্রী হিসেবে সে একটি বাড়িও তিনি আমাকে দিতে চাচ্ছেননা। আমি একজন হার্টের অসুস্থ মানুষ।
তিনি আমাকে তিন বছর যাবত কোন খরচাদি দিচ্ছেনা। মানুষের কাছে হাত পেতে কয়দিন খাওয়া যায়। আমার পক্ষে কথা বলায় তিনি আমার বড় ছেলের নামে ৬টি মামলা দিয়েছেন এবং ছেলের বউদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। তার মেয়ে স্মৃতি রানী বলেন,তার ছেলে পাভেল কয়েকদিন আগে নিতাইগঞ্জে ব্যাংক ডাকাতি করেছেন এবং একটি ব্যাংক থেকেও একটি মোবাইল নিয়ে এসেছেন।
দিপালী রানী বলেন,আমি ওনার বিরুদ্ধে ( আজহার কমিশনার ) একটি ধর্ষন মামলা করেছি। আমি বর্তমানে উকিলপাড়ায় তার ১০ তলা বাড়ির ৫ তলায় অবস্থান করছি।
এ বিষয়ে আজহার কমিশনারের ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৭১৫০১৬০@@ ) একাধিকবার ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।