দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ কিং বাহাদুর শাহ এর ১৬ তম বংশধর দাবি করা আব্দুর রহমান ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা মডেল থানায়। উত্তর মাসদাইর কেতাবনগর পুলিশ লাইন সংলগ্ন এলাকার মৃতঃ সিদ্দিক মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে নজরুল ইসলাম (৪৭) উল্লেখ করেন, তার মালিকানাধীন মাসদাইর মৌজাস্থিত ৪৯ শতাংশ জমিতে ১০/১২ দিন পূর্বে হইতে নির্মান কাজ চলে আসছিলো। গত ৭/৮ দিন পূর্বে উত্তর মাসদাইর কেতাবনগর এলাকার আব্দুর জব্বার মিয়ার ছেলে কিং বাহাদুর শাহ এর ১৬ তম বংশধর দাবি করা আব্দুর রহমান ও তার দুই ছেলে আশিক (২৮) ও আরাফাত (২৪) এবং হাসেন আলীর ছেলে শহিদ (৫০) ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে নির্মান কাজ বন্ধ করে দিবে বলে হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদান করে।
পরে গত ২২ আগষ্ট আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে ও তার দুই ছেলে এবং শহিদ সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন প্রত্যেকের হাতে ধারালো ছোরা, চাকু, লোহার রড, কাঠের ডাসা এবং দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে বাদীর সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে আবারো ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
নজরুল ইসলাম দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে এবং এলোপাথারী মারপিট করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
এসময় নজরুল ইসলামের পকেটে থাকা নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও তার সম্পত্তিতে থাকা টিনের বেড়া যার মূল্য ১ লক্ষ টাকা তা ভাংচুর করে নিয়ে যায়।
নজরুলের ডাক চিৎকারে আশে পাশে থাকা লোকজন ছুটে আসলে আব্দুর রহমানের দাবিকৃত চাঁদা না দিয়ে নির্মান কাজ করলে তাকে হত্যা করার হুমকী প্রদান করে চলে যায়। পরে লোকজনের সহযোগীতায় নজরুল ইসলামকে উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করে।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এদিকে বুধবার অভিযোগের ভিত্তিতে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করে বিবাদী কাউকে না পেয়ে রাতে থানায় বাদী ও বিবাদীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রহমানকে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।