দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন ইসদাইর বুড়ির দোকান মোবারক মসজিদ সংলগ্ন খালপাড় এলাকায় ৩৩ হাজার ভোল্টেজ লাইনের তার বাড়ির টিনের উপরে পড়ে থাকলেও সেগুলো সংস্কারের কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না ডিপিডিসি পঞ্চবটি অঞ্চল।
পঞ্চবটি অঞ্চলকে জানানো হলে তারা কিল্লারপুর অফিসে পাঠায়, সেখান থেকে বলা হয় এটা আমাদের নয় এটা পঞ্চপটি অঞ্চলের। বরং তারা লিখিত অভিযোগ না নিয়ে ভুক্তভোগীদের হয়রানি করে চলছেন বলে জানা যায়। দীর্ঘদিন ধরে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের সঞ্চালনের লাইনের খুটি বেঁকে গিয়ে ডাঃ জাহিদুল ইসলামের টিনশেড বাড়ির টিনের চালের একহাতের কাছে চলে এসেছে।
এতে করে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, এর আগে এক যুবক ডিশের লাইনের কাজ করতে গিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টেজ তারের সাথে লেগে গুরুতর জখম হয়। অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে যান ঐ যুবক।
পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে আসে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,ডাঃ জাহিদুল ইসলাম রনির বাসার পাশের খালের অপর পাশের খাম্বাটি ডান দিকে ঝুকে খালের এ পারের টিনসেড বাসার দিকে ঝুকে আছে। ফলে তার টিনের চালের প্রায় একহাতের মধ্যে চলে এসেছে। জানুয়ারী ২৪ এ একবার বিপদ হয়ে পুরো বাড়ির বৈদুৎতিক লাইন, মিটার পুড়ে যায়।
একজন দগ্ধ হয়ে ঢাকার বার্ন প্লাস্টিক হাসপাতালে ১৫ দিন ভর্তি থেকে ফিরে আসে। তখন-ই এ বিষয়ে মি: সানোয়ার এইচটি ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি লিখিত অভিযোগ গ্রহন না করে, কিল্লার পুল পাঠান, আবার কিল্লার পুল থেকে উনাদের কাছে পাঠান, তার হোয়াটস এপে পুণরায় তাকে ছবি, ভিডিও সহ প্রেরণ করলে তিনি লোক পাঠান, ঝুকিপূর্ণ বলে, চলে যান। আজ ৯ মাস হতে চললেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে সানোয়ার সাহেব বলেন এটা আমাদের কাজ নয়, আমি এক্সেন মাহাবুব বাবু স্যারকে জানিয়েছি। এটা উনাদের কাজ। এক্সেন মাহাবুব সাহেব বলেন আপনারা হেড অফিসে জানান, নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।
এই টিনসেড বাড়ির ১০ টি পরিবার সহ আশপাশের কয়েক বাড়ির লোকজন মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে আতংকে জীবন যাপন করছে। যে কোন সময় খুঁটি পড়ে গেলে ব্যপক প্রানহানি ঘটবে। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল। বিপদ মাথায় নিয়ে ২য় বার দুর্ঘটনা ঘটার অপেক্ষায় দিন গুনছে তারা। ঐ বাসার এক বাসিন্দা বলেন এখন তো দেশ স্বাধীন, এখনো কি আমরা এতো ঝুকি নিয়ে রাত্রি যাপন করব!?
জরুরী পরিসেবার এই বিপদজনক লাইনের বিষয়ে ডিপিডিসি অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে বলে আশা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।