দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম দেওভোগ কৃষ্ণচুড়ার মোড় এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলা, লুটপাট, ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
গত ৮ আগষ্ট দুপুর আনুমানিক দেড় টার দিকে কায়েস আহমেদ, বাপ্পি, সোহেল, ফারুক, বাদশা মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ১৫০/২০০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী এ তান্ডব চালায়।
এ ব্যাপারে বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম হৃদয় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পশ্চিম দেওভোগ কৃষ্ণচুড়ার মোড়ে আমার বাড়ির নীচ তলায় হোসিয়ারী কারখানা ও দ্বিতীয় তলায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করি। গত ৮ আগষ্ট উল্লেখিত সন্ত্রাসীগণ প্রায় ১৫০/২০০ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী আমার বাড়ির সামনের লোহার গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আমাকে মারধর করে শরীর বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। আমার চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী আয়শা আক্তার (২৭) এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
হোসিয়ারীর দুটি রুমের দরজা ভেঙ্গে ৭টি মেশিন, ফ্যান, বাতি, বৈদ্যুতিক তার, ১০ লক্ষ টাকা পোষাক তৈরির থান কাপড়ের রুল, তৈরি পোষাক, জানালা, লোহার এঙ্গেল, নগদ ১ লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়।
দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করে মানিব্যাগ, হাত ঘড়ি, ৪টি মোবাইল, চেয়ার টেবিল, ষ্টীলের আলমীরা ভেঙ্গে ১০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার (আনুমানিক মূল্য ১১ লক্ষ টাকা), ১টি এসি সহ সর্বমোট ২৮ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
বিবাদীগণ আমাকে এ বলে হুমকি দেয় যে, যদি এ ব্যাপারে কাউকে কিছু জানায় বা কোন প্রকার অভিযোগ করে তাহলে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের জানে মেরে গুম করে ফেলবে। বর্তমানে আমি আশংকাজনক অবস্থায় দিনাতিপাত করছি কারন তারা পূণরায় আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের যেকোন প্রকার ক্ষতি সাধন করতে পারে বলে আশংকা করছি। তাই উক্ত বিষয়ে অতিদ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আবেদন করছি।