দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফতুল্লার বক্তাবলীর বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এক মেম্বারের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বক্তাবলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মেম্বার আখিল উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে দিতে ফতুল্লা থানা বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনায় জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এতে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মিলন মেহেদী ও যুগ্ম সম্পাদক মতিউর ফকির স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পলায়নের পর সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতির ছেলে ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোহাম্মদ আকিল উদ্দিন শিকদারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে কাজ করছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মিলন মেহেদী ও যুগ্ম সম্পাদক মতিউর ফকির।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের ওই মেম্বারের সাথে কয়েক দফা গোপন বৈঠকও করেন তারা। বিষয়টি দলীয় নেতা-কর্মীরা একে অপরের সাথে কানাঘুষা করলেও প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলার সাহস পায়নি। বিএনপির এই দুই নেতা আওয়ামী লীগের মেম্বার মোহাম্মদ আকিল উদ্দিন শিকদারের কাছে থেকে আর্থিক সুবিধা নিতেই তার পক্ষে কাজ করছেন।
জানা যায়, উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতির ছেলে ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোহাম্মদ আকিল উদ্দিন শিকদার আওয়ামী পরিবার ও ঘোর আওয়ামী লীগের একজন নেতা। তাছাড়াও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মেম্বার মোহাম্মদ আকিল উদ্দিন শিকদার।
আওয়ামী লীগ নেতা শওকত চেয়ারম্যানের প্রেসক্রিপশনেই মেম্বার মোহাম্মদ আকিল উদ্দিন শিকদারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানাতে উঠে পড়ে লেগেছে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মিলন মেহেদী ও যুগ্ম সম্পাদক মতিউর ফকির। আওয়ামী লীগ নেতা এম শওকত আলী চেয়ারম্যানের কথামতো বিএনপির এই দুই নেতা গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের মেম্বার মোহাম্মদ আকিল উদ্দিন শিকদারের জন্য ডিসি ও ইউএনও অফিসে গিয়ে তদবির করেছেন।
বিভিন্ন থানা এলাকার মামলা সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা ও সদর মডেল থানায় এ পর্যন্ত প্রায় ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বক্তাবলী ইউনিয়ন হতে আওয়ামী লীগের যে সকল নেতাকর্মীরা আসামী হয়েছেন এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোহাম্মদ আকিল উদ্দিন শিকদার, রাসেল চৌধুরী ও ইউপি মেম্বার মোঃ মহিউদ্দিন ভূইয়া।
এ ব্যাপারে মতিউর ফকির বলেন, আমি এবং মিলন মেহেদী দুইজনই ইউনিয়ন পরিষদের নানা সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে প্রশাসক কিংবা যে কোন প্রতিনিধি দিয়ে এলাকবাসীর উপকারের লক্ষ্যে অনুরোধ করেছি ইউএনও এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়কে। এখানে স্বচ্ছতার লক্ষ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ করার অনুরোধ করেছি।
এ বিষয়ে মিলন মেহেদী বলেন, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যিনি যোগ্য তাকেই দায়িত্ব দিবেন তা-ই আমরা চাই। এখানে আমাদের কোন তদবির করার দরকার নাই।