দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শরিফুল ইসলামের মেধাবী পুত্র আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে হতভাগ্য পিতামাতা।
অপর দিকে আসামী পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জমি ও বাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে শরিফুল ইসলামের পুত্র আব্দুল্লাহকে হত্যা করে খুনী মোহাম্মদ আলী, আলমগীর হোসেন, কামাল হোসেন, আবুল বাশার, সুলতান, জিয়া গংরা।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হলেও খুনিরা আওয়ামী সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহেদ মালেক,সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদের ছত্রছায়ায় থেকে মামলা তুলে নিতে নানান ধরনের হুমকি দামকি বাদীকে প্রদান করে আসছিল। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ আদালতে গণমাধ্যম কর্মীদের মামলার বাদী শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার ক্রয়কৃত বাড়ি ও জমি দখল করার জন্য উল্লেখিত খুনীরা পরিকল্পিতভাবে সপরিবারে হত্যার চেষ্টা করে।
আমি, আমার স্ত্রী ও মেয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও আমার একমাত্র মেধাবী পুত্র আব্দুল্লাহ ঘাতকদের হাত থেকে বাঁচতে পারেনি।
বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত নং- ৮ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা নং- ২৬ (৯) ২৩ এর বিবরন অনুযায়ী জানা যায়, মোহাম্মদ আলী, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ কামাল হোসেন,আবুল বাশার, মোঃ সুলতান মিয়া গং যেহেতু বর্ণিত মোকাদ্দমার উল্লেখিত আসামীগন এজহারভুক্ত আসামী এবং আসামীগনের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বিদ্যমান যেহেতু উল্লেখিত আসামীগনের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০৪ ধারার জামিন অযোগ্য অপরাধের সুস্পষ্ট উপাদান বিদ্যমান বিধায়
মোকাদ্দমার বাদীর সহিত এজহার বর্ণিত ১-৫ নং আসামীসহ অজ্ঞাত নামা ১৩/১৪ জন আসামীর সহিত চলাচলের রাস্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। উল্লেখিত বিরোধের কারনে আসামীগন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাদী তাহার ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। বাদীর পরিবারের সকলে একত্রে খাবার খাওয়ার সময় পুরো পরিবারকে একেবারে একসাথে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আসামীগন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৮ম তলার পশ্চিম দক্ষিণ কোনের বারান্দা হইতে ইচ্ছাকৃতভাবে অরক্ষিত ভাবে করা পিলারের অনেকগুলো ইট বাদীর বাড়ীর টিনশেড বিল্ডিং এর চালের উপরে ফেলে।
কিন্তু তখন বাদীর মোবাইলে ফোন আসায় বাদী কথা বলতে রুমের বাহিরে চলে যাওয়ায় এবং বাদীর স্ত্রী রুনা আক্তার তাহার কন্যাকে নিয়ে ছেলে ও স্বামীর জন্য পানি আনতে যাওয়ায় ভাগ্যক্রমে তারা বেঁচে যায়। অত্র মোকাদ্দমার ঘটনা একটি পূর্ব পরিকল্পিত ঠান্ডা মাথার খুন। পুলিশ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করলে অত্র মোকাদ্দমাটি ৩০২ ধারায় রূপন্তরিত হবে। বাদীসহ তাহার পুরো পরিবারকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে আসামীগন।
বাদী শরিফুল ইসলাম আরো বলেন,গত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব দেখিয়ে উল্লেখিত আসামিরা আমাকে ও আমার পরিবারের উপর বিগত ৬ বছর যাবত নানান ভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। আমি এ হত্যাকান্ডে বিচার করতে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠা সহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।