দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে চতুর্থ দফায় ফের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা চার হত্যা মামলায় দুই দিন করে আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রত্যেক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠানো হলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ মোহসেন এর আদালত শুনানী শেষে ২ দিন করে মোট ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল রশীদ।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও অনেক হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে। এ সকল হত্যকান্ডের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চারটি হত্যা মামলায় গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিলো। আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে দুই দিন করে চার মামলায় আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দায়েরকৃত চারটি মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়ায় গত ২০ আগস্ট হোটেল কর্মচারী মো. শাহীন ও একই দিন গার্মেন্টস কর্মী মিনারুল ইসলাম, গত ২১ আগস্ট হুসাইন এবং গত ২০ আগস্ট মো. তুহিন হত্যায় গোলাম দস্তগীর গাজী অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় দায়ের করা পারভেজ হত্যা মামলায় গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিলো। এ দিন বিকেলে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠানো হলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। তার আগে গত ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের নিহত শফিকুল ইসলাম শফিক ও বাবুল হত্যা মামলায় তিন দিন করে মোট ৬ দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়েছিলো গোলাম দস্তগীর গাজীকে।
এরও আগে গত ২৫ আগস্ট রূপগঞ্জে গুলিতে নিহত দশম শ্রেণির ছাত্র রোমান মিয়া হত্যা মামলায় গোলাম দস্তগীর গাজীকে প্রথম দফায় ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে ঢাকা শান্তিনগর বাসা থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।