দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন চরহোগলা ও চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় হৈচৈ বিনোদন পার্ক নামক একটি পার্ককে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত আওয়ামীলীগ আমলে আওয়ামীলীগ এর পদ ধারী শামীম আহাম্মেদ স্বপন (৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক), মোঃ সোহেল (শম্ভুপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক) সহ আরো অনেক আওয়ামীলীগ নেতা জোড়পূর্বক সাধারণ মানুষের ফসলি জমি দখল করে হৈচৈ বিনোদন পার্কটি তৈরী করে।
আওয়ামী সরকারের পতনের পর পার্কটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামীলীগ সরকার পদত্যাগের পরে মধ্য চর হোগলার বাসিন্দা মতিন মুন্সী আওয়ামীলীগ পদ ধারী লোকজনের সাথে যোগসাজশ করে পার্কটি পুণরায় চালু করার পায়তারা করছে। মতিন মুন্সীর কার্যকলাপে এলাকায় পার্কটি নিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হচ্ছে।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পার্কটি ছিল স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম। এমন কোন অপকর্ম নেই যা তারা পার্কটিতে করেনি। এখানে বসে তারা সমস্ত অপকর্মের শলাপরামর্শ বদাতো। রাত হলেই বসতো মদ এবং জুয়া সেবনের আড্ডা ও মাদক ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্ব। পার্কটির পাশেই থাকত ডাকাতি করার ট্রলার। রাত হলেই তারা ড্রেজার, বাল্কহেড ও মাটির ট্টলার এবং বিভিন্ন নদীবাহী যানবাহনে তারা ডাকাতিও করতো।
তারা চুরি, ডাকাতি এমনকি ধর্ষণের মত ঘৃন্য অপকর্মও এখানে করতো। যদি কেউ প্রতিবাদ করতো তাদেরকে ধরে এনে এই পার্কের টর্চার সেলে নির্যাতন করতো এবং চাঁদা না দিলে বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদান করতো। গত ১৫ বছর সাধারণ জনগণ পার্কটি বন্ধ করার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ সাহস পায়নি এবং পার্কটি বন্ধ করতে সক্ষম হয়নি।
৫ই আগস্ট সরকার পতনের সাথে সাথে নির্যাতনকারীরা পার্কটি রেখে পালিয়ে যায়। জনগণ চেয়েছিল পার্কটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটবে বলে সচেতন ছাত্র-জনতা পার্কটি ধ্বংস করতে দেয়নি। বর্তমানে এখন আবার আওয়ামীলীগের পলাতক দখলদারীরা মতিন মুন্সীকে দিয়ে তাদের যোগসাজশে পার্কটি পূণরায় দখল করার পায়তারা করছে। যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা ও ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। দখলদারীরা সোনারগাঁ খানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একাধিক ছাত্র হত্যা মামলার আসামী বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।