দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ( জিসপ) নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর শহীদ জিয়া পরিষদের সভাপতি ইকবাল মাহমুদ মেম্বার বলেছেন, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপি ধ্বংসের মূল কারিগর ঔ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মুন্সিগঞ্জের আনোয়ার হোসেন।
ইকবাল মাহমুদ মেম্বার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি যদি আওয়ামী লীগ হতাম তাহলে ২০২২ সালে কেন ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।ইতিমধ্যে ২ বার নির্যাতিত হয়েছি।
২০১৬ সালে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর আমাকে এলাকার মানুষের স্বার্থে তৎকালীন এমপি সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের কাছে যেতে হয়েছে।
এছাড়াও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামীলীগ সরকারের নির্দেশিত উন্নয়নমূলক ও অনুষ্ঠানগুলোতে বাধ্য হয়ে অংশগ্রহন করতে হয়েছে। এর মানে এ নয় আমি আওয়ামীলীগ নেতা হয়ে গেছি।
আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ২০২২ সালে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা নাম্বার ৩৫ (১১)২২ সে মামলায় জুলহাস ও আনোয়ার আমার সাথে আসামী হয়ে ছিলেন। কাজেই তারা জানেন, আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত নইলে কেন আমাকে আওয়ামীলীগ সরকার মিথ্যা, বানোয়াট মামলায় আসামি করেছে।
ইকবাল মেম্বার আরো বলেন, ২০২৪ সালে ১৯শে জুলাই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে জেলহাতে প্রেরণ করে। আমি ৬ আগস্ট ২০২৪ সালের জামিন পাই। ইতিমধ্যে আমার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আমি প্রশ্ন রেখে ওই সমস্ত বিএনপি’র নেতাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, কারাগারের ভিতরে থেকে আমি কি করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলি বর্ষণ করেছি। এতে প্রমাণ হয় আমার প্রতি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলাগুলো দেওয়া হয়েছে।
আমি আশা করি বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমাণিত হবো ইনশাআল্লাহ। আমি বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, জুলহাস, আওলাদ হোসেনের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলতে চাই, অযথা আমাকে আওয়ামী লীগ বানানোর অপচেষ্টা না করে দলের ভিতর কিভাবে শৃঙ্খলা ফিরে আসে ও দল শক্তিশালী হয় সেদিকে মনোনিবেশ করেন।
আমি আগে থেকে বিএনপি তে ছিলাম আজীবন বিএনপি’র সাথে থেকে যাবো। আমাকে কোন ষড়যন্ত্র বিএনপি থেকে সরাতে পারবেনা।
আমি আবারও বলতে চাই, জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাকে তৎকালীন এমপি ও সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হয়েছে। আমি নিজের থেকে তাদের কাছে যাইনি, অনুষ্ঠান পালন করিনি।
কাজেই ষড়যন্ত্র না করে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ ( জিসপ) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জেকি প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেছেন,ইকবাল মেম্বার জাতীয়তাবাদী দলের একনিষ্ঠ কর্মী। তাকে নিয়ে একটি কুচক্রী মহল নানান ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি দৃঢ় ভাষায় বলতে চাই, ইকবাল মাহমুদ মেম্বার কে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে দিবোনা। জিয়ার সৈনিকরা এর উপযুক্ত দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে।