দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খান বিগত দিনে আওযামীলীগ আমলে যার নামের আগে ছিলো শীর্ষ সন্ত্রাসীর তকমা। কিন্তু ৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার তোপের মোখে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই শীর্ষ সন্ত্রাসীর তকমা গুছিয়ে জননন্দিত নেতার আসন গ্রহন করেছেন সাবেক এই ছাত্রদল নেতা।
দিন যতই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই কর্মী ও জনসমর্থনের পাল্লা ভারি হতে দেখা যাচ্ছে। তবে দলীয় নেতাদের রাজনৈতিক কৌশলের কাছে জাকির খান হত্যা মামলার আসামি হলেও ছিটে ফোটাও জনসমর্থন কমেনি তার বরং দিনে দিনে সেটা আরো বেড়ে চলেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কোন পদ পদবিতে তার নাম না থাকলেও, হেমিলনের বাঁশিওয়ালার মত হাজার হাজার নেতাকর্মীরা তার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে রাজপথ প্রকম্পিত করছে।
তার এই সুনামকে ধ্বংস করার বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু কুচক্রিমহল বলে দাবি করেন তার সমর্থিত নেতা ও কর্মীরা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক দিদার খন্দকার বলেন, জাকির খাঁন হচ্ছে একটি ব্রান্ড যার পরিচিতি দেশের গন্ডি পেরিয়ে আর্ন্তজাতিক পর্যায় পর্যন্ত পেরিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, জাকির খান জাতীয়তাবাদী শক্তিতে এতটাই বিশ^াসী যে প্রয়াত মহিউদ্দিন বাহার লিটন যিনি সাবেক জেলা ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দ্বাায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ বন্দর ঘাট পরিচালনা করতেন, সেই সময় সাবেক সাংসদ সেলিম ওসমান তাকে দিয়ে কোটি টাকার অফার দিয়ে ছিলেন। পাশাপাশি সকল মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করেছেন।
বিনিময়ে জাকির খানকে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতে বলেছিলেন মানে তাকে পুণরায় জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে অংশগ্রহন করতে হবে। কিন্তু জাকির খান সরাসরি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন, সেই সাথে বলে দেন আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের সৈনিক হিসেবে বিএনপির রাজনীতি করছি। বিএনপি একটি জনগণের অধিকার আদায়ের আদর্শিক দল। এই দল ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করা মানে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর অনেক ভালবাসা পেয়েছি, তাদের এই ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবোনা। তবে জাতীয়তাবাদীতে বিশ^াসী হয়ে আমি গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনের পক্ষে থেকে মানুষের অধিকার আদায়ে রাজপথে থাকতে চাই। এখানে যে তৃিপ্ত আছে সেটা আপনাদের কোটি টাকার মধ্যেও নেই।
যে নেতা বহু বছর ধরে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে ঘর ছাড়া নিজের সন্তানকে বুকে টেনে নিতে পারেন না। একজন বাবার জন্য এরচেয়ে বড় কষ্ট আর কি হতে পারে। অথচ তিনি চাইলে এক মুহুর্তে সকল সমস্যা সমাধান করে বাড়ি ফিরে নিজের সন্তানকে বুকে টেনে নিতে পারতেন।
পাশাপাশি অর্থ ও প্রতিপত্তিও পেতেন। তা না করে জনগণের অধিকারের কথা চিন্তা করে সকল প্রস্তাবকে মুহুর্তের মধ্যে নাকচ করে দেন। অথচ অনেক নেতাই দ্বায়িত্ব পেয়ে যেভাবে লুটপাট, দখলবাজী, চাঁদাবাজী করে নিজের পকেট ভারি করছেন। তারও চান না জাকির খান মুক্তি পেয়ে রাজপথে থাকুক। জাকির খান মুক্তি পেলে তাদের অবৈধ অর্থ আয়ের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
দিদার খন্দকার আরও বলেন, বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা আছেন যারা জাকির খানের মুক্তির পক্ষে নেই। অথচ দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবি, জাকির খানের মুক্তি। ইনশাল্লাহ সেটা অচিরেই বাস্তবায়ন হবে।