দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বৃহৎ অংশ।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশার কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালীটি বের হয়।
এর আগে মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৭টি সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড ও ৭টি ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বন্দর ২৩নং কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করে।
পরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাউছার আশার নেতৃত্বে কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালী বের হয়। এ সময়ে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা র্যালীতে দলীয় শ্লোগান দিতে থাকে।
র্যালিটি ২৩নং কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে নাসিক ২০ নং ওয়ার্ডস্থ দড়িসোনাকান্দা এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে র্যালীটি শেষ হয়।
এসময়ে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউছার আশা, মহানগর বিএনপির সদস্য ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য ও সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউছার আশা বলেন, শহীদ জিয়া স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে সুযোগ করে দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক দলগুলো নেতাদের স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার চর্চা করা সুযোগ দিয়েছিলেন। আর বাকশাল সরকার গণমাধ্যম জিম্মি করে রেখেছিলেন। বিগত ফ্যাসিবাদি সরকার বাকশালীদের মত গণমাধ্যমে কন্ঠ চেপে ধরে ছিলেন। যারা ভিন্ন দলের রাজনীতি করতে তাদের বিরুদ্ধে হামলা মামলা গুম করা হয়েছে। আজকে নতুন বিপ্লব হয়েছে ৫ তারিখে, সেটা হলো ছাত্র-জনতার বিপ্লব। এর মাধ্যমে নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র রূপ নিয়েছে, আমরা সবাই বৈষম্যমুক্ত থাকবো।
আমরা এখন কি দেখতে পারছি, আওয়ামীলীগের জয়েন্ট করা অনেক লোক এখন নব্য বিএনপি লুটতরাজে আখড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনাগুলো নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। বন্দরের এই (সোনাকান্দা) এলাকার এক নতুন দরবেশ বাবা আবির্ভাব হয়েছে। প্রথম ছিলেন জুত চোরা পরে হয়েছেন গরু চোর, বয়স বাড়া সাথে সাথে বর্তমানে হয়েছেন লোহা চোর।
বড় বড় কথা বলেন, সেই চাইলে নাকি সব কিছু করতে পারে। সোনাকান্দা মার্টিতে এসে দাড়িয়েছি কিছু করতে পারে করেন, সোজা হেটেঁ যাবো। বিড়াল যারা বাঘের মুখোশ পড়ে হাটঁছেন, আপনারা মনে রাইখেন আমি শিকারী। এত সহজে ছাড় দেয়া হবে না। কোন অন্যায়, কোন অত্যাচার, কোন জুলুম আমার কোন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছেন ফ্যাসিবাদি সরকার আমলে যেভাবে দোসর হিসেবে চলেছেন এখন সেভাবে করছেন।
ঘরে ঘরে মামলা দিচ্ছেন আপনারা যদি না শুদ্ধলাম শুধু দাতঁ ভাঙ্গা নয় হাত-পা ভাঙ্গা জবাব দিবো। আমাদের পরিবার ও আমাদের বিরুদ্ধে আর কোন বাজে মন্তব্য আর কোন মামলা দিচ্ছেন, তাহলে আপনাকে দেখার আছে। রাজনীতিতে শিষ্টাচার থাকা অনেক জুরুরী। রাজণীতিতে কোন মঞ্চ আছে, অশিক্ষিত মূর্খ’র মত কথা বলেন, আজকের মধ্যে এগুলো বন্ধ করেন।
বিগত সরকার পুলিশ দিয়ে হামলা মামলা দিয়ে যেভাবে আমাদের হয়রানী করেছে আপনারা সেভাবে করছে। পুলিশকে ব্যবহার করে মামলা দিয়ে আমাদের সাথে লড়াই করতে চাচ্ছেন। ১৭ বছর লড়াই করেছি, প্রয়োজনে আরো ১৭ দিন লড়াই করবো।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি সদস্য শহীদুল ইসলাম রিপন, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. শহীদ সারোয়ার, মোহাম্মদ হোসেন কাজল, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, হাজী সফিউদ্দিন সোহেল, শহীদ হোসেন খান, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরাফাত চৌধুরী, হোসেন লিয়ন, মেহেদী হাসান, মোস্তাক আহম্মেদ, হুমায়ুন মোল্লা, মহানগর যুবদল নেতা দর্পন প্রধান, শফিকুল ইসলাম শফিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাহাঙ্গীর বেপারী, আলতাব হোসেন ইব্রাহীম, মনির হোসেন সহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।