দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফতুল্লার ভুইগড়ে ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনিতে নাদিম (৩৩) নামের এক ছিনতাইকারী আহত হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ছিনতাইকারি নাদিম সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সানারপাড় নিমাইকাশারির বারেক মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, রোববার ভোর ৪ টার দিকে কাঁচপুর এলাকার ওমর নামের এক কাচামাল ব্যবসায়ী পাইকারি মালামাল কেনার জন্য ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে চিটাগাং রোডে অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় একটি সিএনজি তার সামনে এসে দাড়ায়। তখন সে তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠে। সিএনজিতে আগে থেকেই যাত্রীবেশে দুই ছিনতাইকারী বসে ছিলো।
সামান্য কিছুদুর যাওয়ার পরপরই কাচামাল ব্যবসায়ী ওমরকে যাত্রীবেশী দুই ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত করে সাথে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে সে চলন্ত সিএনজির দরজা খুলে হাত নাড়িয়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে। পেছনে থাকা একটি ট্রাক বিষয়টি দেখতে পেয়ে সিএনজিকে ধাওয়া করে।
সিএনজি তখন সাইনবোর্ড দিয়ে ঢাকা – নারায়নগঞ্জ লিংক রোডে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে ধাওয়া করা ট্রাকটি ভুইগড় বাসস্ট্যান্ডের সামনে এসে সিএনজিকে ব্যারিকেড দেয়। তখন সিএনজিতে থাকা এক ছিনতাইকারী দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আহত কাচামাল ব্যবসায়ী ওমর আহতাবস্থায় ছিনতাইকারী নাদিমকে ঝাপটে ধরে রাখে। এ সময় স্থানীয় পথচারী ও নৈশপ্রহরীরা এগিয়ে এসে নাদিমকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।
অপরদিকে সিএনজি চালক কৌশলে তার সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। আহত কাঁচামাল ব্যবসায়ী নিজেই অপর একটি সিএনজিতে করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে যায়। সংবাদ পেয়ে রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনিতে আহত নাদিমকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২ টার দিকে আহত ছিনতাইকারী নাদিম মারা যায়।
তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। ছিনতাই এবং নিহত হওয়ার ঘটনায় দুটি ঘটনাতেই পৃথক পৃথক দুটি মামলা হতে পারে।