দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ পূর্বাচলে বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন তার সহপাঠীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, ঘটনার পর মামলা দায়ের করতে রূপগঞ্জ থানায় গেলে পুলিশ নানা অজুহাতে মামলা নিতে বিলম্ব করে এবং অসহযোগিতামূলক আচরণ করে। পরে শিক্ষকেরা থানায় গিয়ে চাপ প্রয়োগ করলে মামলা গ্রহণ করা হয়।
শনিবার দুপুরে বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দুর্ঘটনার পর পুলিশ প্রাইভেট কারের চালকসহ তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রথমে রূপগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং পরে তাদের রূপগঞ্জ থানায় নেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরাও তাঁদের সঙ্গে থানায় পৌঁছান। থানায় ঘটনার বিবরণ জানার পরে কর্তব্যরত এসআই মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসহযোগিতামূলক আচরণ করেন। পরদিন সকাল আটটায় আরও একদল শিক্ষার্থী বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষক, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা, প্রধান নিরাপত্তাকর্মীসহ থানায় যান। তখন থানায় কোনো ওসি ছিলেন না এবং যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি দেরি করতে থাকেন। ঘণ্টাখানেক পর ওসি থানায় আসেন এবং শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কে নীলা মার্কেট এলাকায় মুহতাসিম মাসুদ (২২) মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় বেপরোয়া গতির একটি প্রাইভেট কারের ধাক্কায় নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন তাঁর দুই সহপাঠী, মেহেদী হাসান খান এবং অমিত সাহা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, দুর্ঘটনার আগে ঘটনাস্থলে কতর্ব্যরত পুলিশ তাদের মোটরসাইকেল থামায় পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য। ঠিক তখনই পেছন থেকে বেপরোয়া গতির প্রাইভেট কারটি তাঁদের ধাক্কা দেয়।
প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল মামুনের ছেলে মুবিন আল মামুন (২০)। গাড়িতে থাকা অন্য দুই যাত্রী হলেন মিরাজুল করিম (২২) এবং আসিফ চৌধুরী (২২)। ডোপ টেস্টে দুই জনের শরীরে অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।