দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে গোপনে ভিডিও ধারন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগে আলাউদ্দিন(৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ফতুল্লা থানার খান সাহেব স্টেডিয়াম সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ টাওয়ার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আলাউদ্দিন ফতুল্লা থানার খান সাহেব স্টেডিয়াম সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ টাওয়ারের দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া ও মৃত কাশেম সর্দারের ছেলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ও গ্রেপ্তারকৃত আসামির শ্যালিকা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারের উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আলাউদ্দিন সম্পর্কে ভুক্তভোগী নারীর খালাতো বোনের স্বামী। সে সুবাদে তাদের পরিচয়। গত এক বছর পূ্র্বে ভুক্তভোগীর খালাতো বোন প্রবাসে চলে যায়। এরপর থেকে আলাউদ্দিন তাকে প্রায় সময় ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ টাওয়ারের ফ্ল্যাটে যেতে বলতো।
প্রায় ৮-৯ মাস পূর্বে ওই নারী তার খালাতো বোনের বাসায় যায়। বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে তাকে ধর্ষণ করে আলাউদ্দিন। সর্বশেষ গত ১০ জুন রাতে ফের তাকে ধর্ষণ করে ও গোপনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে সে প্রায় সময় শ্যালিকাকে নিজ বাসায় ডাকতো। এতে সে অপারগতা প্রকাশ করলে গোপণে ধারণকৃত ভিডিও তার শ্বাশুড়ির কাছে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, মামলার বাদী ও গ্রেপ্তারকৃত আলাউদ্দিন সম্পর্কে আত্নীয়। স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে আলাউদ্দিনের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সম্পর্কের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য গোপনে ক্যামেরায় ধারন করে আলাউদ্দিন।
এদিকে সম্প্রতি বাদীর স্বামী দেশে ফিরে আসলে আলাউদ্দিন তাকে কথা বলার জন্য খবর দেয়। এতে সে সাড়া না দিলে গোপনে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় বাদী লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় তার সাথে থাকা চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। যার মধ্যে দুটি মোবাইল ফোনে গোপনে ধারণকৃত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।